মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস যে এ বার তিনি চালিয়েই খেলবেন, ঘরোয়া পর্যায়ে ইতিমধ্যেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোলাবাজির প্রশ্নে নিজের দলের কাউন্সিলরকে গ্রেফতার অথবা সিন্ডিকেট প্রশ্নে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি তারই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। অনেক বেশি ক্ষমতা নিয়ে ফিরে আসা দ্বিতীয় বারের মমতা শনিবার দিল্লিতে বুঝিয়ে দিলেন, শুধু ঘরের মাঠেই নয়, সর্বভারতীয় পর্যায়েও ঠিক একই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলবেন তিনি।
শনিবার বস্তুত এক ঢিলে তিনটে পাখি মেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক, সর্বস্তরে তিনি বুঝিয়েছেন রাজ্যের স্বার্থে এ বার অনেক বেশি আক্রমণাত্মক তিনি। দুই, কেন্দ্রের উদ্দেশে বিরোধিতার সুরটাকে চরমে তুলে বিজেপি-র সঙ্গে সম্ভাব্য সখ্য নিয়ে জল্পনায় জল ঢালতে প্রয়াসী হয়েছেন। এই সুবাদে পশ্চিমবঙ্গের গত ৬৫ বছরের কেন্দ্রবিরোধী আবেগের মন্ত্রটাকেও ছুঁয়ে গিয়েছেন তিনি। তিন, ২০১৯-কে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্বটাও শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র পেরিয়ে নিজেকে বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা পূরণে যে এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আরও অনেক আঞ্চলিক দলের সমর্থন জরুরি, এই সত্যটা মমতার থেকে কেউ আর বেশি জানেন না। অন্য রাজ্যগুলোকে পাশে পাওয়ার নামে নীতীশ কুমার অথবা অখিলেশ যাদব, জয়ললিতা অথবা চন্দ্রশেখর রাও— রাজনৈতিক ভাবে এঁদেরকে এক সূত্রে কাছে টানার উদ্যোগটা শুরু হয়ে গেল এই আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠকের মঞ্চ থেকেই।
দ্বিতীয় ইনিংস মজবুত দেখেই তৃতীয় ইনিংসের প্রস্তুতি শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy