আন্দোলনে নামলেন পিএসসি-র বিভিন্ন ব্যাচের পরীক্ষার্থীরা। ফাইল চিত্র।
একে তো ডব্লিউবিসিএস উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পার্সোনালিটি টেস্টের তালিকা বদল। তার উপরে অনৈতিক ভাবে এক পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর বিরুদ্ধে। তদন্ত কমিটি গড়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেওয়া হয়। তার পরেও কমিশন কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন পিএসসি-র বিভিন্ন ব্যাচের পরীক্ষার্থীরা। সোমবার কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁদের অনেকেই।
কয়েক দিন আগে ২০১৭ সালের ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার উত্তীর্ণদের পার্সোনালিটি টেস্টের জন্য একটি তালিকা প্রকাশ করে পিএসসি। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যে সেই তালিকা তুলে নিয়ে নতুন একটি তালিকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় তালিকায় বাদ যান প্রথম তালিকাভুক্ত ১৫ জন পরীক্ষার্থী। তালিকা বদল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে প্রশান্ত বর্মণ নামে এক প্রার্থীকে ঘিরে। অভিযোগ, প্রশান্তের ইংরেজির নম্বর ছিল শূন্য। পরে তা বেড়ে হয় ১৬২ এবং বাংলার নম্বর ১৮-র বদলে হয় ১৬৮!
তদন্তের কথা ঘোষণা করেও কমিশন এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় পরীক্ষার্থীদের একাংশ পথে নামেন। এক আন্দোলনকারী জানান, তাঁদের দাবির মধ্যে আছে, সব পরীক্ষার কাট-অফ নম্বর প্রকাশ করতে হবে। মেধা-তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অভিযুক্ত প্রার্থীর নাম। কেন দু’বার মেধা-তালিকা প্রকাশ করতে হল, তা স্পষ্ট করতে হবে। ‘‘নিয়োগ নিয়ে এত বড় দুর্নীতি অতীতে হয়নি। তাই পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে,’’ বললেন ওই আন্দোলনকারী। সোশ্যাল মিডিয়াতেই বিষয়টি নিয়ে জনমত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী দিনে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy