Advertisement
১১ মে ২০২৪

চাষির বিমা-বঞ্চনা নিয়ে জোর তরজা

মুখোমুখি না-হলেও এই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে পরোক্ষ তরজায় নেমেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতাAgricultural শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৯
Share: Save:

দেশের সব প্রান্তের কৃষকদের উন্নয়ন খাতে বছরখানেক আগে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু উদাসীনতা ও রাজনীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিমার টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বাংলার কৃষকদের এই বঞ্চনার জন্য কলকাতায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা।

মুখোমুখি না-হলেও এই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে পরোক্ষ তরজায় নেমেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিথ্যা অভিযোগ করছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের জন্য বিমা চালু করেছেন। তাই কৃষকেরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিমা প্রক্রিয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’’

রবিবার কলকাতা চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক সভায় রূপালা জানান, কৃষির উন্নয়নে গত ডিসেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনায় দেশের সাত কোটি কৃষক-পিছু বছরে ছ’হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হল, অন্যান্য রাজ্য এই কেন্দ্রীয় সহায়তা পেলেও পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কৃষি রাজ্যের বিষয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনার টাকা পেতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে আদৌ যোগাযোগ করেনি। শুধু তাদের রাজনীতির জন্য এ রাজ্যের কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা রাজ্য সরকারের ‘আত্মহত্যা’য় শামিল হওয়া ছাড়া কিছু নয়।’’ নিছক রাজনীতির কারণে কৃষকদের যাতে বঞ্চিত হতে না-হয়, সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান রূপালা। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় কৃষি বিমার টাকা যাতে সব রাজ্যের কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যায়, সেই বন্দোবস্ত করার জন্য কথাবার্তা চলছে।’’

‘কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন-সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সভায় রূপালা বলেন, ‘‘কৃষির উন্নয়নে জৈব চাষের উপরে জোর দিতে হবে। জৈব সার উৎপাদনে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করলে ভর্তুকি মিলবে।’’ ভেজাল দুধ নিয়ে সতর্কতা-সচেতনতার প্রচার চলছে। রূপালার আবেদন, ‘‘ঘরে ঘরে গির প্রজাতির গরু পালন করুন। এরা রোজ প্রচুর দুধ দেয়। প্রয়োজনে গো-আবাস গড়ে তুলতে হবে। গুজরাতে এই ধরনের প্রচুর গো-আবাস গড়ে উঠেছে। উন্নত মানের দুধ উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE