সিকিম-সহ বিভিন্ন রাজ্যের লটারি রমরমিয়ে চলে পশ্চিমবঙ্গে। তার মধ্যে গোয়া রাজ্য লটারি বঙ্গে লটারির টিকিট বিক্রি করার সময় নিয়মকানুন মানছে না বলে অভিযোগ তুলেছে অর্থ দফতর। রাজ্যের অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী গোয়া সরকারকে চিঠি লিখে বেআইনি ভাবে ব্যবসার করার অভিযোগ তুলেছেন। এবং গোয়া লটারির পরিবেশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফলে লটারির টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে গোয়া সরকারের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চিঠি পেয়েও গোয়ার লটারি যেমন চলার তেমনই চলছে। তাতে নবান্নের কর্তারা যারপকনাই ক্ষিপ্ত।
লটারির উপরে এখন নিয়ন্ত্রণ উঠে গিয়েছে। ফলে কোনও রাজ্য নিজেরা লটারি চালু করলে অন্য যে-কোনও রাজ্যে তার টিকিট বিক্রি করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের মডেল আইন অনুসরণ করেই সারা দেশে রাজ্যভিত্তিক নতুন লটারি আইন চালু হয়েছে। তার মধ্যেও প্রতিটি রাজ্যই অবশ্য কিছু নিজস্ব নিয়মবিধি বজায় রেখেছে। এখন ১৩টি রাজ্য নিজেদের লটারি চালাচ্ছে। সেগুলি হল কেরল, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া, মহারাষ্ট্র, সিকিম, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর ও মেঘালয়। এই ১৩টি রাজ্যের লটারি দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য রাজ্য নিজেরা লটারি টিকিট বিক্রি করে না।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থসচিব গোয়া সরকারকে চিঠিতে লিখেছেন, গোয়া লটারির পরিবেশক এ রাজ্যের নিয়ম মানছে না। এই নিয়ে জারি করা কোনও নির্দেশও মানছে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বক্তব্য, লটারি খেলার জন্য এ রাজ্যে ‘মেকানিক্যাল’ বা যান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে যন্ত্রের সাহায্যে নম্বর লাগানো চাকা ঘোরানো হয়। তাতে পরপর নম্বর উঠে আসে। কিন্তু গোয়া রাজ্য লটারি ‘ইলেকট্রনিক’ বা বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে খেলা পরিচালনা করছে। পশ্চিমবঙ্গের লটারি আইন অনুযায়ী সেটা করা যায় না।
তা ছাড়া গোয়া লটারির পরিবেশক কত টিকিট বাজারে ছাড়ছে, কত টিকিট বিক্রি হচ্ছে, কত ফেরত আসছে, সেটা সরকারকে জানাচ্ছে না। এর ফলে বাংলার লটারি বাজারের কতটা গোয়া দখল করছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা বুঝতে পারছে না। তাই অর্থসচিব গোয়ার লটারি নিয়ন্ত্রককে পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যের নিয়মবিধি মেনে কাজ করা উচিত।
‘‘আমরা এমন কোনও চিঠির কথা শুনিনি। গোয়া সরকার সর্বত্র যা অনুসরণ করে, এখানেও তা-ই হচ্ছে। প্রয়োজনে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়া হবে,’’ বলেন এ রাজ্যে গোয়া লটারির পরিবেশকের এক মুখপাত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy