বক্তব্য রাখছেন অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি হয়েছিলেন সপ্তাহখানেক আগে। সংশয় ছিল এ রাজ্য়ে নির্ধারিত সভা হবে কি না, তা নিয়েও। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ স্বয়ং জানিয়েছিলেন, অসুস্থতা কাটিয়ে মঙ্গলবার মালদহে এবং বুধবার ঝাড়গ্রামে সভা তিনি করবেনই।
মালদহে এলেন বেশ কিছুটা দেরিতে। প্রথামতো তাঁকে মালা পরানোও হল না। মিনিট ৪০ বক্তৃতার পরে মঞ্চ থেকে নামলেন যখন, তখন অবস্থা রীতিমতো কাহিল। বাতিল হয়েছে আজ তাঁর ঝাড়গ্রামের সভাও। অন্য নেতা হয়তো আসবেন। শাহ নন।
মালদহের মঞ্চে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করলেন, ‘‘অমিত শাহ দিল্লি থেকে রওনা হয়েছিলেন ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে। চিকিৎসকেরা তাঁকে আসতে বারণ করা সত্ত্বেও বাংলার সন্ত্রাস ও হিংসার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য তিনি অসুস্থ শরীরেই এসেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে আমরা মালা পরাতে পারলাম না। তাঁকে স্পর্শ করা এখন বারণ।’’
এ ভাবে সফরে আসা কি উচিত হয়েছে শাহর? এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান সৌমিত্র ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও রোগীর যদি সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে থাকে এবং জ্বর থাকে, তা হলে তাঁর এ ভাবে বাইরে বেরনো ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। কারণ, যিনি রোগী, এ ভাবে জ্বর নিয়ে বেরোলে তাঁর ক্ষতি তো হয়ই, আশপাশে সকলের মধ্যেই রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।’’
বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা চিকিৎসক সুভাষ সরকার অবশ্য দাবি করেন, ‘‘অমিত শাহের ক্ষতি যাতে না হয়, তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে বেরোতে, মালা পরতে বা কাউকে স্পর্শ করতে বারণ করেছিলেন। এর সঙ্গে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর যোগ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy