ছবি: সংগৃহীত।
সভাপতি পদের অপসারণ নিয়ে ‘ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’র (ডিসিআই) সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের টানাপড়েন ছিলই। তাতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দ্বিতীয় দফার পত্রাঘাত।
সেপ্টেম্বরে ডিসিআইয়ের সচিবের উদ্দেশে চিঠি লিখে কাউন্সিলের সভাপতি দিব্যেন্দু মজুমদারকে দ্রুত অপসারণের জন্য বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এর কারণ হিসেবে চিঠিতে বলা হয়, ১৯৪৮ সালের ডেন্টিস্ট আইন অনুযায়ী, ৬৫ বছরের পরে আর কেউ ডিসিআইয়ের সদস্য পদে থাকতে পারেন না। যে হেতু চলতি বছরের অগস্টে দিব্যেন্দুবাবুর ৬৫ বছর হয়ে গিয়েছে, তাই তিনি আর ডিসিআইয়ের সদস্য থাকার অধিকারী নন। এ কথা জানিয়ে সেপ্টেম্বরের চিঠিতেই দিব্যেন্দুবাবু কাউন্সিলের কোনও রকম কাজকর্মে যাতে যুক্ত না থাকেন, তা সচিবকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু সেই চিঠির এক সপ্তাহ পরে ডিসিআইয়ের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) সিদ্ধান্ত মেনে ফের পদে আসীন হন দিব্যেন্দু। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের পরামর্শের ভিত্তিতে ইসি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইনি পরামর্শে দেখা গিয়েছে, বয়সসীমা পেরনোর নিয়ম তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রককে তা জানিয়েও দেওয়া হয়।
এই আবহে সোমবার দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিসিআইয়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রকের মাধ্যমে এ বিষয়ে নতুন করে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের পর্যবেক্ষণ জানতে চেয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তিনি আগের অবস্থান থেকে সরে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিয়েছেন।
এ কথা জানানোর পরই সচিবের উদ্দেশে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘ডিসিআইয়ের যে সকল সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তাঁরা যাতে পদে আসীন না হন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সচিবের। এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী নয়’! স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিঠির প্রেক্ষিতে ডিসিআইয়ের এগ্জিকিটিভ কমিটির সিদ্ধান্ত যে প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা চিঠি মারফত দিব্যেন্দুকে জানিয়ে দিয়েছেন সচিব সব্যসাচী সাহা।
বুধবার দিব্যেন্দু জানান, দাদার মৃত্যুর কারণে তিনি এখন বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। শোকের আবহে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দ্বিতীয় দফার চিঠি প্রসঙ্গে এ দিন কোনও প্রতিক্রিয়া তিনি দিতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy