বিপাকে: ছাঙ্গু যাওয়ার পথে জওহরলাল নেহরু মার্গে আটকে গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
ইয়ুমথাংয়ে তুষারপাতে আটকে পড়া সব পর্যটককেই উদ্ধার করল সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁদের পাহাড় থেকে নামানো শুরু হয়।
মাত্র দিন পনেরোর মধ্যে সিকিমে তুষারপাতে আটকে পড়া বহু পর্যটকের পাশে দাঁড়াল সেনাবাহিনী। ২৮ ডিসেম্বরও নাথু লা থেকে ফেরার পথে ভারী তুষারপাত এবং তুষারঝড়ে আটকে পড়েন পর্যটকরা। তা দেখতে পেয়ে সেনা জওয়ানেরাই গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে সেনা নিবাসে নিয়ে যান। তারপরে বুধবার বিকেলে উত্তর সিকিমের ইয়ুমথাং এলাকায় প্রবল তুষারপাতের জেরে আটকে পড়েন ১৫০ জন পর্যটক। রাতেই ১০৮ জনকে নিরাপদে নামিয়ে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। ৪২ জন সেনা ছাউনিতে ছিলেন। ভারতীয় সেনার কর্নেল এস জে তিওয়ারি বলেন, ‘‘রাতে কয়েক জন অসুস্থ ছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়। সকালে সকলেই সুস্থ ছিলেন।’’ এ দিন সকাল থেকেই লাচুং এবং ইউমথাংয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজও শুরু করে সেনা।
দিন তিনেক আগেই ওই অঞ্চলে তুষারপাতের পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। প্রশ্ন উঠেছে, তারপরেও পুলিশ কেন পর্যটকদের লাচুং এবং ইয়ুমথাংয়ের দিকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিল? যদিও ট্যুর অপারেটরদের একাংশের দাবি, পর্যটকদের অনেকে বরফ পড়া দেখতে যেতে নাছোড়বান্দা বলেই বাধ্য হয়ে অনুমতি সংগ্রহ করেন তাঁরা। পূর্ব সিকিমের এক পুলিশ কর্তা জানান, পূর্বাভাস থাকলে নাথু লা, ছাঙ্গুতে যেতে দেওয়া হয় না। কিন্তু, ইয়ুমথাংয়ে যে এমন ভারী তুষারপাত হবে তা সকালের আবহাওয়া দেখে মনে হয়নি। তবে আবহাওয়া মন্ত্রকের পূর্বাভাসকে কেন গুরুত্ব দেওয়া হল না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার ইয়ুমথাংয়ে যাওয়ার অনুমতি থাকলেও নাথু লা, ছাঙ্গুতে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
এ দিনও ছাঙ্গু, নাথু লা-সহ সিকিমের কিছু জায়গায় তুষারপাত হয়েছে। গ্যাংটকে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। এ দিন লাচুং, ইউমথাং, ছাঙ্গু এবং নাথু লা পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy