কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দফতর এবং অডিট ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপানোর বকেয়া টাকা মেটানো নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এই বিষয়কে ঘিরে বদলি করা হয়েছে অডিট ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের দফতরের সঙ্গে অডিট ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের মতবিরোধ চলছে। সম্প্রতি একটি ছাপাখানার প্রাপ্য এক কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা মেটানোকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে বলে কর্মী মহলের খবর। নথিপত্র ভাল ভাবে খতিয়ে না-দেখেই এক দিনের মধ্যে ওই ছাপাখানাকে টাকা মিটিয়ে দিতে উদ্যোগী হন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অডিট ও অ্যাকাউন্টস বিভাগ তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করেছিল। নথি ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় তারা। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও নড়ানো যায়নি কর্তৃপক্ষকে। উল্টে বদলি করে দেওয়া হয়েছে এক আধিকারিককে।
কর্মী শিবিরের দাবি, এর আগেও বিভিন্ন বিষয়কে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। চুক্তির ভিত্তিতে ৯৫ জন সাফাইকর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা হয়। এ ছাড়া নিরাপত্তারক্ষীদের বোনাস দেওয়া নিয়েও মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। এই আবহে অস্বস্তি কর্মীদের মধ্যেও।
শিক্ষা শিবিরের বক্তব্য, এত দিন শাসক দলের পড়ুয়াদের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লেগে থাকত। সম্প্রতি তাতে ছেদ পড়লেও দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে শীর্ষ দুই বিভাগের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধ কিসের? উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি, জবাব দেননি টেক্সট মেসেজেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy