Advertisement
০৫ মে ২০২৪
West Bengal News

উপাচার্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট, কড়া বিবৃতি রাজভবনের, যাদবপুরে রাজ্যপাল

বৃহস্পতিবার প্রথমে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। এর পর রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-কে ফোন করে মন্ত্রীকে উদ্ধারের যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:১৮
Share: Save:

বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে নিজেই ছুটে গেলেন রাজ্যপাল তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তিনি যাদবপুরে পৌঁছন।

চার নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দেওয়া শুরু করে। পুলিশ রাজ্যপালের কনভয় তিন নম্বর গেট দিয়ে ঘুরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছে দেয়। প্রায় ১০ মিনিট ছাত্রদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে গাড়ি থেকে নামতে পারেননি তিনি। বিক্ষোভ ঠেলে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে বাবুল নিজেই পৌঁছন রাজ্যপালের গাড়ির কাছে। বাবুল তাঁর গাড়িতে উঠে বসেন। তার পরেই রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে শুরু হয়ে যায় বেলাগাম অশান্তি। ছাত্ররা রাজ্যপালের গাড়ি চাপড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে ঢোকে পুলিশের বড় বাহিনী।

তার আগেই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-কে ফোন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এ ভাবে আটকে রাখা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খারাপ ছবিই তুলে ধরছে বলেও রাজভবন থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রথমে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। এর পর রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-কে ফোন করে মন্ত্রীকে উদ্ধারের যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। এর পর সন্ধ্যা পর নিজেই ক্যাম্পাসে যান রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁকে কনভয়কেও আটকানো হয়।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে চরম হেনস্থা করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা-সমর্থক এক দল ছাত্র। তুমুল ধস্তাধস্তি হয়। কোনওক্রমে ক্যাম্পাসে ঢুকলেও রাত পর্যন্ত বাইরে বার হতে পারেননি তিনি। এর পর উপাচার্যের দ্বারস্থ হন। কিন্তু উপাচার্য ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার অনুমতি দিতে রাজি হননি। তিনি ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু বার হওয়ার সময় তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। বাবুল সুপ্রিয় নিজেও রাজ্যপালকে ফোন করেন।

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিগৃহীত বাবুল সুপ্রিয়, মন্ত্রীকে আটকে রেখে চলছে বিক্ষোভ, চরম বিশৃঙ্খলা

আরও পড়ুন: রাজীবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পেতে দাউদের উদাহরণ টানল সিবিআই

এর পর সন্ধ্যের দিকে রাজভবন থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘেরাওয়ের ঘটনাকে রাজ্যপাল অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস উপযুক্ত পদক্ষেপ করেননি বলেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলেও কড়া বার্তা দিয়েছে রাজভবন। অন্য দিকে মুখ্যসচিব মলদ দে-কে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। মন্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পক্ষে খারাপ বার্তা বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE