সঞ্জয় ও ভূমিকা। খুনের অভিযোগে এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ির প্রধাননগরে নিজের বাড়িতেই খুন হয়েছিলেন ক্যাটারিং ব্যবসায়ী অজয় কুশওয়া এবং তাঁর স্ত্রী মীনা। পাশাপাশি দুটো ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত ২১ জুলাই রাতে। খুনের সামগ্রিক দিক খতিয়ে দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল, কোনও পরিচিত ব্যক্তিই এই খুনে জড়িত। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার পুলিশ অজয়ের এক কর্মচারী এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করল। ধৃতেরা হল ভূমিকা এবং সঞ্জয় তামাং।
পুলিশ জানিয়েছে, কর্মচারী হলেও ভূমিকা মালিক অজয়ের বাড়িতে প্রায়ই থাকতেন। ফলে ঘরের কোথায় কী আছে, খুঁটিনাটি সবই জানা ছিল তাঁর। ঘটনার দিন রাতেও তিনি অজয়ের বাড়িতে ছিলেন। পরের দিন কোনও ব্যক্তিকে অজয়ের পাওনা মেটানোর কথা ছিল। সে জন্য তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা বাড়িতে এনে আলমারিতে রেখেছিলেন। ভূমিকা এই টাকার বিষয়টা গোপনে নজর রেখেছিলেন বলে পুলিশের দাবি। কোথায় টাকা রাখছেন মালিক সেটাও তিনি নজরে রেখেছিলেন।
লক্ষ্য ছিল সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার। আর সেটা হাতাতেই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে খুন করেন ভূমিকা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে। জেরায় ভূমিকা পুলিশকে জানিয়েছেন,ওই দিন গভীর রাতে সঞ্জয়কে সে ঘরের ভিতর থেকে দরজা খুলে দেয়। সে সময় একটি ঘরে একাই ঘুমোচ্ছিলেন অজয়। আর তার ঠিক পাশের ঘরে ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন মীনা।পুলিশ জানিয়েছে, ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় অজয়কে। ঠিক একই ভাবে খুন করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। এর পর আলমারি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে সঞ্জয় ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ভূমিকা তার পর ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয় যাতে দেখে মনে হয় বাইরে থেকে কেউ এসে খুন করেছে কুশওয়া দম্পতিকে।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত শিশুর পাশেই রক্তাক্ত দেহ বাবা-মা’র, বাগডোগরায় চাঞ্চল্য
আরও পড়ুন: সাক্ষ্য দিতে এসে গ্রেফতার ভুয়ো বাবা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy