বিজেপি কর্মীকে মারধর। সোমবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
ভোটের দিনই আবার চড় মারার অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে। সোমবার কোচবিহারে দু’জায়গায় তাদের দুই কর্মীকে তিনি চড় মারেন বলে বিজেপির অভিযোগ। বিজেপির সেই দুই কর্মীকেই পরে পুলিশ গ্রেফতারও করে। এক জনকে পরে থানা থেকেই জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘আমি কাউকেই মারধর করিনি। সবই বিজেপির মিথ্যে অভিযোগ।’’
গত বিধানসভা ভোটেও মেজাজ হারিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তৃণমূলেরই এক কর্মীকে সকলের সামনে সে বার সপাটে চড় কষিয়ে দেন। সেই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন তাঁকে শো-কজ করে। কিন্তু তারপরে আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি। এ দিন বিজেপির জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে-র অভিযোগ, ‘‘রবীন্দ্রনাথবাবু মন্ত্রী হয়েও বারবার একই কাজ করছেন। ঘটনার কথা অস্বীকার করলেও ভিডিয়ো ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, তিনি আমাদের কর্মীকে চড় মারছেন।’’ রবীন্দ্রনাথবাবু পাল্টা দাবি করেন, তিনি এ দিন ওই পথে যাচ্ছিলেন, সেই সময় কলাকাটার একটি বুথে বিজেপির এক পোলিং এজেন্ট ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করার চেষ্টা করছিল। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘ব্যালট বাক্স ভাঙতে না পেরে বিজেপির ওই এজেন্ট তা নিয়েই পালিয়ে যাচ্ছিলেন। হইচই দেখে আমি ভিতরে ঢুকি। ওই বিজেপি কর্মীকে ব্যালট বাক্স হাতে আটকানো হয়। পরে পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।” বিজেপি অবশ্য ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পলাশকে বুথে গোলমাল পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করার পরে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ডাউয়াগুড়ি ২ ব্লকের। সেখানেও রবীন্দ্রনাথবাবু সুজিত দাস বলে বিজেপির এক কর্মীকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য বলেছেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’’
সুজিতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল? পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডের বক্তব্য, ‘‘পুরনো অপরাধের জন্য সুজিতের খোঁজ চলছিল। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।’’ রবীন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি? পুলিশকর্তাদের জবাব, ‘‘কোনও অভিযোগ এখনও জমা পড়েনি। যদি অভিযোগ হয়, খতিয়ে দেখা হবে।’’ বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy