লোকসভা ভোটে টক্কর প্রায় সমানে সমানে। কিন্তু রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসক তৃণমূলকে টপকে গেল বিজেপি। আসন জয় এবং ভোটপ্রাপ্তির হার— দুই নিরিখেই!
এ বারের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বিধানসভার ৮ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল। তার মধ্যে দার্জিলিং, হবিবপুর, কৃষ্ণগঞ্জ ও ভাটপাড়া— এই চার কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে দার্জিলিঙের জয় আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে রাজনৈতিক শিবিরে। পাহাড়ের কোনও দলের প্রতীকের বাইরে বা তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জোট ছাড়া অন্য কোনও দল সরাসরি পাহাড়ে বিধানসভা আসন জিতছে— এমন ঘটনা শেষে কবে ঘটেছে, মনে করতে পারছেন না অনেকেই!
ইসলামপুর, নওদা ও উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র জিতেছে তৃণমূল। মোট ৮ কেন্দ্রে তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার ৩৭.০৪%। সেখানে বিজেপির ভোট ৪০.৫০%। মুর্শিদাবাদের নওদা ও কান্দি দুই কেন্দ্রই ছিল কংগ্রেসের দখলে। নওদা এ বার কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। কান্দি অবশ্য ধরে রেখেছে কংগ্রেসই। কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব (ডেভিড) সরকারকে দলে টেনে বহরমপুর লোকসভা আসনে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। ডেভিড লোকসভায় জিততে পারেননি, তাঁর পুরনো কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রও শাসক দলের পক্ষে যায়নি। উপনির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছে ১১.৭১% ভোট।
উপনির্বাচন ঘিরে কৌতূহলের কেন্দ্রে ছিল ভাটপাড়া। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে অর্জুন সিংহ নিজে যেমন ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছেন, তেমনই ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্ম প্রতীকে জিতিয়ে এনেছেন ছেলে পবনকে। অর্জুন-বধে ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেত্রী পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে। কিন্তু মদন পরাজিত হয়েছেন ২৩ হাজার ১০৪ ভোটে। জোড়া লক্ষ্যভেদ করেছেন অর্জুন!
তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জেও। ওই কেন্দ্রের নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালিকে রানাঘাট লোকসভা আসনে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। রূপালি রানাঘাটে হেরেছেন, কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রও বিজেপি ছিনিয়ে নিয়েছে। ‘সহানুভূতি’ ভোটের কোনও ফায়দাই জোড়া ফুলে যায়নি। আর লোকসভা ভোটের ফলকে রাজ্যের বিধানসভা কেন্দ্রওয়াড়ি ভেঙে দেখলে মোট ১২৯টি কেন্দ্রে এখন এগিয়ে বিজেপি। তৃণমূলের দিকে থাকছে ১৫৮ কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy