Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপির উত্থান নিয়ে শাসককে বিঁধল বাম-কংগ্রেস

বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তৃতা করেন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রামজ্ (ভিক্টর)।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০১:০৬
Share: Save:

তৃণমূল সরকারের ‘তোষণনীতি’, ‘দখলদারির মানসিকতা’ এবং ‘ঔদ্ধত্য’-এর জন্যই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থান হয়েছে বলে সোমবার বিধানসভায় দাবি করলেন কয়েক জন বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়করা অবশ্য পাল্টা ব্যাখ্যা দেন, সিপিএমের ভোট বিজেপিতে চলে যাওয়ার ফলেই গেরুয়া শিবিরের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। আর তৃণমূল বিশেষ কোনও সম্প্রদায়কে তোষণ করে না। এই জমানায় সব সম্প্রদায়ের মানুষই ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকতে পারছেন।

বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তৃতা করেন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রামজ্ (ভিক্টর)। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘সাচার কমিটির সুপারিশ রূপায়ণের দাবিতে আন্দোলন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি নিজে কি সেগুলি রূপায়ণ করেছেন? ওই সুপারিশে ইমাম ভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়নি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উনি সেগুলি দিলেন! আর সাচারের সুপারিশে যে সব কথা বলা হয়েছে, সেগুলি দিলেন না!’’ ভিক্টরের আরও বক্তব্য, মমতার হিজাব পরে রেড রোডের নমাজে অংশ নেওয়ার দরকার ছিল না। ওঁর এই সব কাণ্ডের জন্যই এখন রাজ্যের যত্র তত্র ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান উঠছে। ভিক্টরের কথায়, ‘‘বিজেপি যদি দেশের সাম্প্রদায়িক দল হয়, তা হলে পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক দল তৃণমূল। আমরা মুসলমান বা হিন্দুর সরকার চাই না। সকলের জন্য বাংলার সরকার চাই।’’ বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’-এর পাল্টা ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান তৈরির জন্য অবশ্য মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভিক্টর। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘জয় হিন্দ বিভাজন বিরোধী একটি স্লোগান। বিধানসভায় আইন এনে সরকারি স্তরে সব স্কুল-কলেজে জয় হিন্দ বলা বাধ্যতামূলক করুন।’’

বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তৃতা করতে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদও এ দিন বলেন, ‘‘তোষণের দরকার নেই। ইমাম বা পুরোহিত ভাতা চালু করেছেন কি না, সেটা বিষয় নয়। কত মুসলিম, কত আদিবাসীকে চাকরি দিয়েছেন, সে কথা বলুন।’’ রশিদের আরও বক্তব্য, ‘‘এত ঔদ্ধত্য? পঞ্চায়েত ভোটে কী করেছেন? বালি, কয়লা, গরু পাচার হচ্ছে। এ সব বন্ধ করুন। সম্মান দিন, সম্মান নিন।’’ সিপিআই বিধায়ক অশোক দিন্দা সরকার পক্ষের উদ্দেশে বিধানসভায় বলেন, ‘‘দখলদারির রাজনীতি শুরু করেছিলেন আপনারা। পুলিশ দিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে ঝান্ডা ধরিয়ে বিরোধীশূন্য করতে নেমেছিলেন।’’

তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তী অবশ্য বাম এবং কংগ্রেস বিধায়কদের ওই সব অভিযোগ বিধানসভাতেই উড়িয়ে দিয়েছেন। শিউলি বলেন, ‘‘আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে থাকেন। আপনারাই (বামেরা) বিজেপিকে বাড়তে দিয়ে নিজেরা বিগ জিরো হয়েছেন।’’ স্নেহাশিস বাম বিধায়কদের পাল্টা বলেন, ‘‘আপনাদের ভোট না পেলে বিজেপি একার জোরে ১৮টা আসন পেত না। তৃণমূল সকলকে নিয়ে থাকে। তৃণমূল আপনাদের শত্রু নয়। বিজেপি যে আপনাদের শত্রু, সেটা বুঝুন।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC Left Front Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE