দানিশ হক।
টাকা না দিলে মাদকের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে— এমনটাই হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর সেই তোলাবাজির টাকা নিতে গিয়ে হাতেনাতে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়লেন শহরের এক নামী আইনজীবী এবং নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র এক অফিসার। সোমবার গভীর রাতে সিবিআই আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন দু’জনকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রতাপ আদিত্য নামে এক ব্যবসায়ী সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ করেন যে, তাঁকে মাদকের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন এক আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের সেই আইনজীবীর নাম দানিশ হক। এনসিবি-র নাম করে তিনি নাকি এই টাকা চাইছেন। অভিযোগকারী সিবিআইকে জানিয়েছেন, দানিশ তাঁর কাছে গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য দু’লাখ টাকা চান। শুধু ওই আইনজীবী নন, অভিযোগকারী জানায়, তাঁকে একই কথা বলেছেন এনসিবি-র ইনটেলিজেন্স অফিসার অমরেন্দ্রকুমার সিংহও।
এই দানিশ হক, নারদ মামলায় ইকবাল আহমেদের আইনজীবী। এ ছাড়াও গাড়ি দুর্ঘটনায় মডেল সোনিকা সিংহের মৃত্যুর মামলাতেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘মেঘের আড়াল’ থেকে বেরিয়ে আসুন, ভারতীকে বার্তা হাইকোর্টের
তাঁর সঙ্গে দানিশ এবং এনসিবি অফিসারের কথোপকথনের কয়েকটি অডিও রেকর্ডও সিবিআই আধিকারিকদের কাছে জমা দেয় অভিযোগকারী। তার ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা শুরু করে সিবিআই।
আরও পড়ুন: সারদায় ফের জেরা কুণালকে
সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ওই অভিযোগকারী দু’লাখ টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তির পঞ্চাশ হাজার টাকা দানিশের পার্ক সার্কাসের অফিসে দিতে আসেন। সেই সময়েই দানিশকে হাতেনাতে পাকড়াও করে সিবিআই আধিকারিকরা। তার পর তাঁকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা পাকড়াও করেন এনসিবি আধিকারিক অমরেন্দ্রকেও।
মঙ্গলবার তাঁদের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে। অন্য দিকে, এনসিবি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভ্যন্তরীন ভাবে তাঁরা গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। কারণ, যে এই ঘটনায় অভিযোগকারী, তাঁর নাম ইতিমধ্যেই একটি পার্টি ড্রাগস মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। এনসিবি-র ওই অফিসার কী ভাবে গোটা ঘটনায় যুক্ত হলেন, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ এনসিবি কর্তা।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy