Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে শিক্ষকদের সরানোয় সঙ্কট

প্রশ্ন উঠছে, এক স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা তুলে নিয়ে এ ভাবে অন্য স্কুলের চাহিদা মেটালে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সুষ্ঠু ভাবে চলবে তো?

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৪
Share: Save:

আপাতত ৬৫টি সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমেও পঠনপাঠন চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই স্কুলে পড়ানোর জন্য আজ, বুধবার বিভিন্ন চালু স্কুলের ১৮০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার তালিমের ব্যবস্থা করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। প্রশ্ন উঠছে, এক স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা তুলে নিয়ে এ ভাবে অন্য স্কুলের চাহিদা মেটালে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি সুষ্ঠু ভাবে চলবে তো?

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, সারা রাজ্যে ১০০টি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল চালু করা হবে। সেই অনুযায়ী প্রথম দফায় ৬৫টি স্কুলে ইংরেজিতে পঠনপাঠন চালুর কথা গত সপ্তাহে জানান তিনি। সেই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলিতে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষিত যে-সব শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, আপাতত তাঁরাই কাজ চালাবেন। তাঁরা ছাড়াও অতিরিক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। পড়াবেন তাঁরাও। পরে আরও নিয়োগ করা হবে। এ বার ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষিত ১৮০ শিক্ষক-শিক্ষিকার জন্য কর্মশালার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, যে-সব সার্কেলে ইংরেজি মাধ্যমে পঠনপাঠন চালু হচ্ছে, প্রশিক্ষণের জন্য সেই সমস্ত সার্কলের স্কুল থেকেই ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা নতুন ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে শুরু করলে তাঁদের শূন্য পদে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। কিন্তু শিক্ষক শিবিরের আশঙ্কা, এ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের গতি যা, তাতে নতুন ও পুরনো দু’ধরনের স্কুলেই শিক্ষকের অভাব দেখা দেবে। আখেরে ক্ষতি হবে ছাত্রছাত্রীদেরই।

কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের বক্তব্য, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের খবর খুব আশাব্যঞ্জক ও আনন্দদায়ক হলেও গত ছ’বছর ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর কর্মদক্ষতা বিদ্যালয়ে নিয়োগের স্বচ্ছতা ও দ্রুততাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাই নতুন পদে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রকৃত অর্থে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা! এক স্কুলে দু’ধরনের মাধ্যমে পঠনপাঠন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েই আপত্তি তুলেছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘এতে পড়ুয়াদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হবে। ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর শিক্ষক-শিক্ষিকাও যথেষ্ট সংখ্যায় নেই। এই ভাবে বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা তুলে নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education School English Medium School Teachers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE