প্রতীকী ছবি
পুরুলিয়ার ৮টি থানা এলাকায় শবর জনজাতির প্রায় ১২ হাজার মানুষ থাকেন। তাঁদের অনেকেই শ্রমিকের কাজে যান ভিন্ রাজ্যে। ওই সমস্ত মানুষজন যে ভাষায় কথা বলেন, তাতেই নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে শবর খেড়িয়া কল্যাণ সমিতি। মূলত, স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত সচেতনতার বার্তা ওই ভাষায় তর্জমা করে চালানো হচ্ছে প্রচার।
শবর খেড়িয়া কল্যাণ সমিতির প্রকল্প আধিকারিক প্রশান্ত রক্ষিত জানান, রবিবার কেন্দার রাজনওয়াগড় গ্রামের অফিসে সমিতির বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে শবর জনজাতির মানুষজনকে সচেতন করতে তাঁদের কথ্য ভাষাতেই বার্তা দিতে হবে। সমিতির সহ-সভাপতি রত্নাবলী শবর বরাবাজার কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের মধ্যে যে ভাষায় কথা বলি, তাতেই সবাইকে বোঝানো হয়েছে। এই সময়ে কোনও বিষয়ে কারও ধোঁয়াশা থাকলে বা গুজব ছড়ালেই মুশকিল।’’
সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় শবর জনজাতির মানুষজনের বসবাস মূলত বান্দোয়ান, মানবাজার, বোরো, পুঞ্চা, বরাবাজার, বলরামপুর, পুরুলিয়া ১ ও হুড়া ব্লকের ১৬২টি গ্রামে। এ ছাড়াও কাশীপুর, পুরুলিয়া ২ ও আড়শায় কিছু শবর বাসিন্দা রয়েছেন। সমিতির সম্পাদক, কুদা গ্রামের জলধর শবর জানান, সমিতির কর্মীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। শবরদের কথ্য ভাষায় তর্জমা করা বার্তা সেখানে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, সমিতির লোকজনকে বলা হয়েছে সাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মেসেজের কথাগুলি পড়ে শোনাতে।
তর্জমা করা ওই বার্তায় লেখা আছে, ‘পশ্চিমবঙ্গর বাহিরের রাজ্যেরহুঁ কাজ কুরি যদি কেউ ঘরক আসত, তা হলে ১৪ দিন ঘরর হু নিকড়া বন্ধ। একনাই একঘরে রুহিত হেবাক।’’ অর্থাৎ, বাইরে থেকে কাজ করে কেউ ঘরে ফিরলে একা একটা ঘরে ১৪ দিন থাকতে হবে। সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লি, কেরালা, গুজরাট ও রাজস্থান থেকে কয়েক জন শবর যুবক জেলায় ফিরেছেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে তাঁরা সবাই আলাদা থাকছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy