ছবি: পিটিআই।
ভোট-যুদ্ধ থেকে ভয়াল ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই। দুই ক্ষেত্রেই অগ্রবর্তী ‘কুইক রেসপন্স টিম’ (কিউআরটি)।
বছরখানেক আগে একই সময়ে এই শব্দগুচ্ছটি বার বার আমজনতার সামনে এসেছিল। এখনও সেটি ঘোরাফেরা করছে। বছরের ব্যবধানে শুধু তার ব্যবহারের ক্ষেত্র বদলেছে। এক বছর আগে ভোটের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল কিউআরটি। আর এখন কিউআরটি যুক্ত হয়েছে করোনা মোকাবিলায়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন স্তরে কাজ করছে তারা।
কী কী কাজ করছে কিউআরটি?
১) বাইরে থাকা আসা মানুষকে হোম কোয়রান্টিন বা গৃহ-নিভৃতবাসে থাকতে বলা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেই নির্দেশ মানছেন কি না, তার উপরে নজরে রাখা। ২) স্থানীয় বাজারের আনাজপাতি-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দরদাম যাচাই করা। প্রয়োজনে আমচকাই সেই সব বাজারে হানা দেওয়া। ৩) লকডাউন সম্পর্কে আমজমতাকে সচেতন করা। ৪) সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার জন্য আবেদন করা। ৫) যেখানে শ্রমিকেরা আটকে পড়ছেন, সেখানে প্রশাসন বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ত্রাণ বিলি করছে, তা ঠিকমতো সকলে পাচ্ছেন কি না, তার হিসেবও রাখতে হচ্ছে কিউআরটি-র সদস্যদের। ৬) আটকে পড়া শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষা কতটা হল, সে-দিকেও খেয়াল রাখতে হবে কিউআরটি-কে। ৭) কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কোন এলাকার ক’জনকে কতটা খাবার বা খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য সামগ্রী দিল, তার খুঁটিনাটির উপরেও নজরে রাখতে হচ্ছে তাদের। ৮) কোয়রান্টিন বা নিভৃতবাসের কেন্দ্র কোথায় আছে বা আরও কোথায় কোথায় করা যায়, তার জন্য নিয়ম করে এলাকা পরিদর্শন করছেন কিউআরটি-র সদস্যেরা। কয়েকটি জেলায় কিউআরটি-র নাম বদলে হয়েছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। প্রতিটি কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেবের তালিকা তৈরি করে বিভিন্ন স্তরে পাঠাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী-অফিসারেরা।
আরও পড়ুন: ৯ মিনিটের পাল্টা, ৯টি প্রশ্ন তুলল তৃণমূল
ল্যাবরেটরির শর্ত
• দৈনিক ১০০ জন সন্দেহভাজন থাকতে হবে।
• দু’টি ল্যাবের মধ্যে দূরত্ব সমতলে ২৫০ কিমির বেশি এবং পাহাড়ে ১৫০ কিমির বেশি হতে হবে।
• দূরত্ব কম থাকলে দু’টি ল্যাবেই রোজ অন্তত ১০০টি পরীক্ষা করতে হবে।
• নিকটতম ল্যাবে ১০০টি নমুনা পরীক্ষা না-করলে লাইসেন্স বাতিল করে অন্য আবেদনকারী ল্যাবকে অনুমোদন দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: আইসিএমআর
ভোটের সময় কোনও গোলমাল হলে সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব থাকে কিউআরটি-র উপরে। করোনা মোকাবিলায় প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গেই থাকতে হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তৈরি কিউআরটি-কে। তাতে থাকছেন বিভিন্ন স্তরের কর্মী-অফিসারেরা। স্বাস্থ্যপরীক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যেই ভোটের কাজ হয়। কিন্তু করোনার মতো ভয়ঙ্কর ভাইরাসের মোকাবিলায় গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক, মহকুমা, জেলা স্তরের কর্মী ও অফিসারদের রোজই কিছু কিছু কাঠামো তৈরি করে এগোতে হচ্ছে বলে জানান প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত লোকজন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy