সাজাপ্রাপ্ত সুজয় সর্দার। —নিজস্ব চিত্র
দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের জেরে পাল্টেছে আইন। ধর্ষণের মামলায় ১৬ বছর বয়স হলেই সাবালক হিসেবে ধরা হবে অপরাধীকে। সেই আইনেই কিশোরীকে গণধর্ষণের দায়ে এ রাজ্যের এক কিশোরকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা হল। মূল অভিযুক্তের সঙ্গে ওই নাবালকেরও যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত।
ঘটনার সূত্রপাত আট মাস আগে। উল্টোডাঙার বাসন্তী কলোনীর এক কিশোরীকে পাড়ারই দাদা সুজয় সর্দার বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার টোপ দেয়। ছোটবেলা থেকেই চেনা সুজয়ের কথায় সন্দেহ হয়নি কিশোরীর। কিশোরী রাজি হওয়ায় সল্টলেকে তাকে বেড়াতে নিয়ে যায় সুজয় ও তার এক সঙ্গী কিশোর।
এর পর সল্টলেকের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সুজয় সর্দার ও ওই কিশোর। নির্যাতিতা যাতে বাড়িতে না জানায় তার জন্য ভয়ও দেখায় দু’জন। কিশোরীও তাতে ভয় পেয়ে প্রথমে বাড়িতে কিছু বলেনি।
আরও পড়ুন: এ বার পুলিশের মোবাইলেও মোমো, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়তেই খুনের হুমকি
কিন্তু বাড়িতে ফেরার পর কিশোরীর আচরণ দেখে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকজনের। চোখে-মুখে কান্নার ছাপ। তলপেটে ব্যথা এবং যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত শুরু হয়। অবশেষে অভিভাবকদের জিজ্ঞাসাবাদে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা ঘটনার কথা জানায় সে।
কিশোরীর মা উল্টোডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন-সহ পকসো আইনে শুরু হয় মামলা। শুক্রবার সেই মামলার রায়ে দু’জনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই সঙ্গে তিন লক্ষ টাকা জরিমানাও ধার্ষ করা হয়।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে অসুস্থ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাখা হয়েছে আইসিইউ-তে
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর অভিযুক্ত কিশোরের পক্ষের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেল যেহেতু নাবালক, তাই শাস্তির মাত্রা যেন কম হয়। কিন্তু বিচারক মানেননি। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, গণধর্ষণের মতো মামলায় দোষী হলে নাবালকত্ব যে কোনও রক্ষাকবচ নয়, সে বিষয়ে লোকসভায় একটি বিল পাশ হয়েছে সম্প্রতি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারক কোনও ছাড় দেননি ওই কিশোরকে। মূল অভিযুক্ত সাবালকের সঙ্গে তারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাই দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy