সিপিএম সমর্থক কার্তিক বর্মন।—নিজস্ব চিত্র।
কৈলাশ থেকে মর্তে নেমে এলেন স্বয়ং ‘মহাদেব’! তা-ও আবার বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে। ভিড়ে ঘুরতে ঘুরতে জটাধারী মহাদেব মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনে, সন্তানরা দু:খে-কষ্টের কথা জানার পর অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মহাদেব। ব্রিগেডের মাঠে দাঁড়িয়ে মহাদেবের হুঙ্কার: “আমি এসেছি এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জাতির নামে ভেদাভেদ করছে। এখানে তৃণমূল শোষণ করছে। মানুষের সরকার চাই।”
লাল পতাকার মাঝে জটাধারী শিবকে দেখে ঘিরে ধরেছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা। আসলে এই মহাদেব তাঁদের খুবই পরিচত। মাঝেমধ্যেই তাঁকে মিটিং-মিছিলে দেখা যায়। বামেদের নবান্ন অভিযানে লাঠির ঘা-ও খেয়েছেন। ব্রিগেডে আসবেন না, তা কী হয়? তাই এ দিন মর্তে এলেন। আসলে এই মহাদেব-এর বাড়ি মালদহে। সিপিএম সমর্থক কার্তিক বর্মন লোকশিল্পী। তাঁর এই শিল্প সত্তাকে কাজে লাগিয়ে এমন ভাবেই অভিনব প্রতিবাদ করে থাকেন।
কার্তিক বলেন, “আবার রাজ্যে বামফ্রন্ট ফিরে আসুক। কৃষি থেকে শিল্প-বামফ্রন্ট ছাড়া রাজ্যের উন্নতি সম্ভব নয়। তৃণমূল আগামী দিনে সাইন বোর্ডে পরিণত হবে।”
আরও পড়ুন: মোদী-মমতাকে একযোগে তোপ, দুঃসময়ের ব্রিগেডে বৃহত্তর বাম ঐক্যের বার্তা
এ দিন ব্রিগেড সমাবেশে তরুণ-তরুণী বাম সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ কলেজে পড়েন। কেউ চাকরির খোঁজে রয়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি, “আমাদের চাকরি চাই। এই সরকার আমাদের ঠকিয়েছে।”
বাঁকুড়া থেকে প্রতীক দুলে এসেছিলেন। তিনি বি এড করছেন। কিন্তু চাকরির পাননি। এই সরকারের নীতিকেই তিনি দায়ী করেছে। ছাত্র-যুবরা এসেছিলেন। তেমনই এসেছিলেন ক্ষেত মজুর থেকে শুরু করে চাষিরাও। বড়জোড়ার বাসিন্দা গনেশ বারুই বলেন, এ রাজ্যে না আছে ফসল ফলিয়েও টাকা মেলে না। চারদিকে শুধু ফড়েদের দাপট খাবটা কী?
আরও পড়ুন: মঞ্চে উঠতে পারলেন না, গাড়িতে বসেও আকর্ষণের কেন্দ্রে অসুস্থ বুদ্ধদেবই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy