আবহাওয়া খামখেয়ালি আচরণ করলেও জীবাণুকুল চলছে রুটিন মেনেই। আর তার ফল ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
বাংলার ঋতুচক্রে হারিয়ে গিয়েছে বসন্ত। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই গরমের দাপটে তাই নাজেহাল অবস্থা। সকালে রাতে রাস্তায় বেরোলেই যেন অস্বস্তি বাড়ছে। অসময়ের এই গরমে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গরম অসময়ে পড়লেও বসন্ত কালের জীবাণুরা রুটিন মেনেই সক্রিয় হয়েছে। বরাবরই এই সময়ে নানা জীবাণু ঘটিত রোগে কাবু হয় বাঙালি। এ বছরেও ছবিটা পাল্টায়নি। কখনও তীব্র গরম, আবার কখনও অল্প ঠান্ডা— এমন আবহাওয়ার জেরে ভাইরাস ঘটিত জ্বর হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দেহের তাপমাত্রা তিন-চার দিনে স্বাভাবিক হলেও পুরো সুস্থ হতে সময় লাগছে দশ দিনেরও বেশি। আর জ্বর কমলেও থেকে যাচ্ছে দুর্বলতা। যার জেরে স্বাভাবিক কাজকর্ম এমনকী হাঁটা-চলাও করতে পারছেন না অনেকে।
বিভিন্ন জ্বরের সঙ্গে দোসর হয়েছে হামের মতো রোগও। চামড়ায় র্যাশ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যে কোনও র্যাশই হাম নয়। অত্যধিক গরমে চামড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তা ছাড়া, অনেক জ্বরের ওষুধেও র্যাশ দেখা দেয়। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
এই অবস্থায় চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন আবহাওয়ার বদলে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরমে ডেঙ্গি হয় না। কিন্তু এই বসন্ত কালের গরমে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি নামছে। ডেঙ্গির জীবাণুরা মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে। মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার সতর্ক করে বলেন, ‘‘তাপমাত্রা বাড়ছে, ঘাম হচ্ছে। উপরন্তু জ্বর কমাতে যে সব ওষুধ খেতে হয়, তাতে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। তাই এই সময় বেশি করে জল খাওয়া দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy