প্রতীকী ছবি।
বছরভর রক্তের চাহিদা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিকল্পনাও তৈরি হয়েছে প্রচুর। তার পরেও ‘স্বনির্ভর’ হতে পারল না জেলার ব্লাড ব্যাঙ্ক। ডেঙ্গির মরসুমে কলকাতার ব্লাড ব্যাঙ্কের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের। তার জেরে তৈরি হচ্ছে সঙ্কট।
ডেঙ্গিরোগীর চিকিৎসায় প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা জরুরি। কিন্তু রাজ্য জুড়ে ব্লাড ব্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়লেও রক্তের উপাদান বিভাজনের কেন্দ্র বাড়েনি। ফলে ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে অণুচক্রিকার। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, রাজ্যে অণুচক্রিকার চাহিদা মেটাতে জেলার ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্ব কলকাতার ব্লাড ব্যাঙ্কের হাতে দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে দু’বার ছয় ইউনিট করে মোট ১২ ইউনিট অণুচক্রিকা পাঠাতে হবে। সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ককে বসিরহাট, ব্যারাকপুর, শ্রীরামপুর-সহ ছ’টি ব্লাড ব্যাঙ্কের অণুচক্রিকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের হাতে কাঁথি-সহ তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্ক, নীলরতন সরকার হাসপাতালের হাতে বাঙুর, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআরএস, আরজি করের মতো ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর চাহিদা মেটাতে পারছে না। পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ানের অভাবে রক্ত সংগ্রহ হলেও রক্তের উপাদান বিভাজন করে অণুচক্রিকা মজুত করতে পারছে না তারা। তার উপরে জেলার ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্ব ঘাড়ে চাপায় সঙ্কট বেড়েছে।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, রাজ্যে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক আছে ৭৬টি। কিন্তু রক্তের উপাদান বিভাজনের পরিকাঠামো রয়েছে মাত্র ১৯টিতে। এই পরিকাঠামো তৈরি করতে পাঁচ কোটি টাকা খরচ হয়। স্বাস্থ্য ভবনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, অণুচক্রিকার জোগানের উপরে নজরদারি রয়েছে। কোনও ব্লাড ব্যাঙ্ককে রক্ত বিভাজনের উপযোগী করে তোলা সময়সাপেক্ষ। সেই বিষয়েও পরিকল্পনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy