Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
State News

নার্সিংহোমই শিশু পাচারের আখড়া, জড়িত চিকিত্সকেরাও!

নার্সিংহোম থেকেই পাচার হয়ে যেত সদ্যোজাত শিশু। আর সেই শিশুই টাকার বিনিময়ে চলে যেত বিদেশে। গায়ের রং এবং লিঙ্গ অনুযায়ী সেই সব সদ্যোজাতের দাম ঠিক হত। আশি হাজার থেকে দু’লাখের মধ্যে ঘোরাফেরা করে সেই দাম।

ছবি: প্রতীকী।

ছবি: প্রতীকী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৬ ১৭:৪১
Share: Save:

নার্সিংহোম থেকেই পাচার হয়ে যেত সদ্যোজাত শিশু। আর সেই শিশুই টাকার বিনিময়ে চলে যেত বিদেশে। গায়ের রং এবং লিঙ্গ অনুযায়ী সেই সব সদ্যোজাতের দাম ঠিক হত। আশি হাজার থেকে দু’লাখের মধ্যে ঘোরাফেরা করে সেই দাম।

নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে হানা দিয়ে দুই মহিলা-সহ আর্ন্তজাতিক শিশু পাচার চক্রের সাত পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ওই চক্রের সঙ্গে এক শ্রেণির চিকিত্সকও জড়িত বলে দাবি গোয়েন্দাদের। ওই নার্সিংহোম থেকে বিস্কিটের কার্টুনে লুকিয়ে রাখা তিন সদ্যোজাতকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ার ওই নার্সিংহোম থেকে শিশু পাচার করা হয় বলে ভবানী ভবনে একাধিক বার ফোন আসে। তার ভিত্তিতেই নজরদারি শুরু হয়। এক মহিলা ওই পাচারচক্রে জড়িত বলে জানা যায়। সোমবার সেই মহিলার বাড়িতে হানা দেয় সিআইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, অভিযুক্ত নার্সিংহোম থেকে শিশু পাচার করা হয়। এর পর সেই নার্সিংহোমে ওই মহিলাকে নিয়ে হানা দেন গোয়েন্দারা। নার্সিংহোমে তখন পাচারচক্রের একাধিক পাম্ডা হাজির ছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তল্লাশির সময় সেখান থেকে তিন সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হয়। ওই নার্সিংহোমে ভর্তি এক মহিলাকে জিজ্ঞাসা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, প্রসবের জন্য সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই দিন সকালে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। পাচারকারী মহিলা ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে জেরা করে জানা গিয়েছে, এ ভাবেই প্রসূতির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হত তাঁর সন্তান মারা গিয়েছে। এবং সেই শিশুকেই পাচার করা হত। সিাইডির এডিজি রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘ওই চক্রটি কোথায় কোথায় শিশু পাচার করেছে, কত দিন ধরে করছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি একটি বড় চক্র বলেই মনে হচ্ছে।’’

তদন্তকারীদের দাবি, একটি স্বেচ্ছসেবী সংস্থার মাধ্যমে মেয়ে সন্তান বিদেশে পাচার করা হয় বলে জানিয়েছে ওই মহিলা। দিল্লিতেও সদ্যজাতদের পাচার করা হয়েছে বলেও জেরায় জানিয়েছে সে। সিআইডির দাবি, কালো মেয়ে সন্তানের দাম আশি থেকে এক লক্ষ টাকা। ফর্সা মেয়ে সন্তানের দান এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। কালো ছেলে সন্তানের দাম এক থেকে দেড় লক্ষ। ফর্সা দেড় থেকে দু’ লক্ষ টাকা। এই পাচার চক্রের সঙ্গে সরকারি হসপাতালের এক প্রাক্তন চিকিৎসকও জড়িত রয়েছেন জানিয়েছেন সিাইডির ডিআইজি ভরতলাল মিনা।

আরও পড়ুন

জানা নেই ক্লাইম্যাক্স, এ যেন কুড়ি পয়সার পালা!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Doctors Child Trafficking Nursing Home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE