Advertisement
১০ মে ২০২৪

মিঠুন হোটেলে শুনেই হাজির ইডি

মুম্বইয়ে এক বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারবার ডাক পাঠানো সত্ত্বেও কলকাতায় ওই তদন্ত সংস্থার কাছে যাননি অভিনেতা-সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। অবশেষে বৃহস্পতিবার মহানগরীর এক হোটেলে মিঠুনেরই কাছে পৌঁছে গেল ইডি। এ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন প্রশ্ন উঠেছিল এবং মিঠুন তার কী জবাব দিলেন, তার সবিস্তার বিবরণ মেলেনি। তবে এটুকু জানা গিয়েছে যে, রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য মিঠুন এ বার লিখিত ভাবে নিজের মতামত জানিয়েছেন ইডি-কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৫ ০৩:১২
Share: Save:

মুম্বইয়ে এক বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারবার ডাক পাঠানো সত্ত্বেও কলকাতায় ওই তদন্ত সংস্থার কাছে যাননি অভিনেতা-সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। অবশেষে বৃহস্পতিবার মহানগরীর এক হোটেলে মিঠুনেরই কাছে পৌঁছে গেল ইডি।

এ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন প্রশ্ন উঠেছিল এবং মিঠুন তার কী জবাব দিলেন, তার সবিস্তার বিবরণ মেলেনি। তবে এটুকু জানা গিয়েছে যে, রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য মিঠুন এ বার লিখিত ভাবে নিজের মতামত জানিয়েছেন ইডি-কে।

সারদা গোষ্ঠীর টাকা কারা কারা নিয়েছেন, তার তদন্তে উঠে আসে মিঠুনের নাম। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুন সারদার একটি চ্যানেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। সেই জন্য টাকাও নিতেন। মুম্বই ও অন্যত্র ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে তিনি কয়েক বার ইডি-র তলব এড়িয়েছেন। পরে মুম্বইয়ে এক বার ওই তদন্ত সংস্থার কাছে যান। কিন্তু কলকাতায় ইডি তাঁর নাগাল পাচ্ছিল না।

ইডি সূত্রের খবর, বিকেলে শহরে পৌঁছে রাজারহাটের একটি হোটেলে ওঠেন মিঠুন। ইডি-র কাছে সেই খবর পৌঁছে যায়। তড়িঘড়ি ইডি হাজির হয় ওই হোটেলে। সেখানেই ইডি-র অফিসারদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা হয় ওই অভিনেতার। তার পরে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ওই সাংসদ।

এ দিনই সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষের আইনজীবী বিচার ভবনে বিচারক অরবিন্দ মিশ্রের এজলাসে দাবি করেন, সিবিআইয়ের চার্জশিটে প্রয়োগ করা ধারা অনুযায়ী সারদা ট্যুর ও ট্রাভেলসের মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে চলতে পারে না। মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসেই তার শুনানি হওয়ার কথা। বিচারক ২০ মে-র মধ্যে এই বিষয়ে যৌথ আবেদন পেশ
করতে বলেন। জামিনের আবেদন খারিজ করে সুদীপ্ত, দেবযানী ও কুণালকে ২৮ মে পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সারদা তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে লগ্নি সংস্থা এমপিএসের সম্পত্তির তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। সিবিআই, ইডি, বিধাননগর পুলিশ, হাইকোর্টের নিযুক্ত স্পেশ্যাল অফিসারেরা এ দিন লেক টাউনে এমপিএসের অফিসে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE