—ফাইল চিত্র।
ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল বা ভিভিপ্যাট নিয়ে বিপত্তি বা়ড়ছে। তাই অন্য সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ভিভিপ্যাট মজুত রাখতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে লোকসভা ভোটের জন্য আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসছে ‘এম-থ্রি’ ভার্সানের ইভিএম।
সাধারণত বুথের সংখ্যার তুলনায় অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ ভিভিপ্যাট মজুত রাখা হয়। নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে আরও ১০ শতাংশ ভিভিপ্যাট মজুত রাখতে চলেছে কমিশন। তাই শুরুতে ১৬.১৫ লক্ষ ভিভিপ্যাট তৈরির জন্য ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং ইলেকট্রনিকস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমি়টেডকে বরাত দিয়েছিল তারা। কয়েক মাস আগে আরও ১.৩ লক্ষের বরাত দেওয়া হয়েছে ওই দুই সংস্থাকে। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনে মোট ১৭.৪ লক্ষ ভিভিপ্যাট মজুত করতে চলেছে কমিশন।
২৮ মে উত্তরপ্রদেশের কৈরানায় ২০.৮ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রের বান্দ্রা-গোন্ডিয়ার লোকসভা উপনির্বাচনে ১৯.২২ শতাংশ ভিভিপ্যাটে ত্রুটি ধরা পড়েছিল। শেষ কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত ভিভিপ্যাটের মধ্যে গড়ে ১০ শতাংশে সমস্যা দেখা দেয়। সেই জন্য বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অতিরিক্ত ভিভিপ্যাট তৈরি রাখছে কমিশন। শুরুতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ভিভিপ্যাট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে নতুন বরাতের জন্য সেই কাজ শেষ হতে নভেম্বর হয়ে যেতে পারে। সেন্সরে যাতে আলো প্রভাব না-ফেলে, তার জন্য একটি আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করছে কমিশন। একই সঙ্গে ভিভিপ্যাটে আর্দ্রতা নিরোধক কাগজ ব্যবহার করা হবে, যাতে ভিভিপ্যাটে তা জড়িয়ে না-যায়।
আগামী সপ্তাহে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ন’টি জেলায় ১৯ হাজার করে ব্যালট ইউনিট এবং কন্ট্রোল ইউনিট সংবলিত ইভিএম আসার কথা। বাকিটা ধাপে ধাপে আসবে। ইভিএম পাঠানোর ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে তিনটি ক্যাটিগরিতে ভাগ করেছে কমিশন। ভিভিপ্যাটের বিপত্তির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অভাবকে কিয়দংশে দায়ী করেছিলেন কমিশনের কর্তারা। সেই জন্য নতুন ‘এম-থ্রি’ ভার্সানের ইভিএম আসার পরে বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ শুরু হতে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর। ‘এম-থ্রি’ ভার্সান অনেকটাই ত্রুটিমুক্ত হবে বলে কমিশন-কর্তাদের আশা। রাজ্যে ৭৭,৩৫৪টি বুথ ছিল। কয়েক মাস আগে বুথ বিন্যাসের পরে প্রায় ১৪০০ বুথ বাড়তে চলেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি জানাবে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy