গোপাল দেবনাথ (গিরিশ পার্কে উড়ালপুল দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরার পর)
কালো বিড়াল রাস্তা কাটেনি। চোখে পড়েনি বিজোড় শালিখও। তবুও এমন ঘটনা ঘটল।
হাওড়া স্টেশনে নামার পর গাড়ি খুঁজে পেতে খুব দেরি হল বলে মনটা কেমন কু ডেকেছিল। গাড়ি ছাড়ার সময় তাই ঠাকুর স্মরণ করেই রওনা হলাম। কিন্তু, তারপর আধঘণ্টাও তো কাটল না। চোখের সামনেই সব কেমন যেন অন্ধকার হয়ে গেল। আঁধার যখন কাটল, তখন দেখলাম, যে পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছিলাম, তা আর সম্পূর্ণ নেই। বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না আমার বড় জামাই সুজিত (বাপি) দেবনাথকে। ওই উড়ালপুল কেড়ে নিল আমাদের গাড়ির চালক প্রকাশ ঢালিকেও।
তিন মেয়ে, তিন জামাই আর নাতি নাতনিদের নিয়ে দিন দশেক আগে পঞ্জাব বেড়াতে গিয়েছিলাম। আগেই হরিণঘাটার নগর উখড়ার বাড়িতে ফোন করে দাদাকে বলেছিলাম একটা টাটাসুমো পাঠাতে। আমাদের পাড়ারই সুশান্তর গাড়ি। ড্রাইভার প্রকাশও আমাদের খুব চেনা। কিন্তু, হাওড়া স্টেশনে গাড়ি পেতে খুব সমস্যা হল। যাই হোক, গাড়ি ছাড়ার পর মনটা ভাল হয়ে গেল। কথায় কথায় কখন যে বড়বাজার পার হয়ে গিয়েছে, তা আর খেয়াল করিনি।
আচমকাই শুনি কিসের যেন একটা বিকট শব্দ। মুহূর্তেই সব অন্ধকার। মনে হলস, গাড়ির পিছন দিকটা যেন নেই। আচমকা এমন ঘটনায় এমনই হকচকিয়ে গিয়েছিলাম যে সম্বিত ছিল না। সম্বিত যখন ফিরল, তখনও ধুলোর মেঘে ঢেকে রয়েছি আমরা। দেখি রক্তাক্ত নাতি-নাতনিরা আর দুই মেয়ে কাঁদছে। বাকিরা তখনও গাড়ির মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy