বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের খুশি করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে।
চাষিদের মনে পেতে রাজ্য সরকার এ বার নতুন করে ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে রোজার সময় অগের তুলনায় বেশি করে ‘রোজা প্যাকেজ’ দিচ্ছে খাদ্য দফতর।
বুধবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘এ বার রোজা উপলক্ষে রেশনে আগের বছরগুলির তুলনায় ভাল প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। রোজার এক মাসের মধ্যে দু’বার এই বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হবে। রাজ্যের সব রেশন কার্ডধারীই ওই সুবিধা পাবেন।’’
খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, প্যাকেজে কার্ড-প্রতি ২০০ গ্রাম ছোলা, ৪০০ গ্রাম চিনি, ৪০০ গ্রাম ময়দা এবং পরিবার প্রতি ১ লিটার সর্ষের তেল দেওয়া হবে। সর্ষের তেলে লিটারে ভর্তুকি দেওয়া হবে ৮ টাকা করে, অন্য সামগ্রীতে প্রতি কেজিতে ৩ টাকা। আগে এর প্রায় অর্ধেক জিনিস প্যাকেজে দেওয়া হত।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, চলতি মরসুমে সরকারের সিদ্ধাম্ত ছিল ৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা। যার থেকে ২২ লক্ষ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। সেই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি সংগ্রহ পৌঁছে গিয়েছে। এ বার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অক্টোবরের গোড়া পর্যন্ত অতিরিক্ত আরও ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে বিশেষ ক্যাম্পের মাধ্যমে ওই ধান কিনতে রাজ্য সরকাকে অতিরিক্ত ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, অগস্টের মধ্যে সারা রাজ্যে খাদ্য নিরাপত্তা আইন মেনে রেশন ব্যবস্থা কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনটি জেলায় তা কার্যকর হয়েছে। এ মাসের মধ্যে আরও চার জেলায় তা কার্যকর করা হবে। ওই আইন অনুযায়ী রাজ্যের ৬ কোটি ১ লক্ষ অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ মানুষ সস্তায় খাদ্যপণ্য পাবেন। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ৮৭ শতাংশ মানুষ সস্তায় খাদ্যপণ্য দিতে চান। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের ওই দাবি মানেনি। তাই ঠিক হয়েছে, ২ টাকা কিলো দরে চাল দেওয়ার বিশেষ প্রকল্পকে সম্প্রসারিত করে বাকিদেরও তার আওতায় আনা হবে। কারা ওই সুবিধা পাবেন, তা ঠিক করতে বিডিওদের এলাকাভিত্তিক তদন্ত করে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ওই তালিকা জমা দিতে হবে। তার পরে যত দ্রুত সম্ভব নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy