উত্তম দে
কাজে যোগ দেওয়ার আগে থানায় সার্ভিস রিভলভার নিচ্ছিলেন। হঠাৎই গুলি ছিটকে লাগল খড়্গপুর টাউন থানার সাব ইনস্পেকটর উত্তম দে-র(৫৯) বুকে। তড়িঘড়ি খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া খড়্গপুর বলেন, ‘‘সার্ভিস রিভলভার পড়ে গিয়েছিল সহকর্মীর। কুড়িয়ে নেওয়ার সময় ওঁর বুকে গুলি লাগে। বিষয়টি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত হচ্ছে।” পরে ফের সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন পুলিশ সুপার। জানান, এ দিন সকালে ডিউটি অফিসার ছিলেন রাহুল পাণ্ডে। এ ছাড়া অফিসঘরে ছিলেন উত্তম। আর এক সাব-ইনস্পেকটর দেবাশিস দাস রিভলভার নিচ্ছিলেন। হলস্টারে রাখার সময় হাত থেকে রিভলভারটি প়ড়ে যায়। মাটি থেকে তোলার সময় গুলি ছিটকে লাগে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সাধারণ ভাবে নিয়ম হল, কাজে যোগ দেওয়ার সময় কোনও পুলিশকর্মীকে গুলি ভরা রিভলভার দেওয়া হয় না। অসাবধানতাবশত রিভলভার মাটিতে পড়ে যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে একজন প্রশিক্ষিত পুলিশকর্মী রিভলভার তোলার সময় নল নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেন। দেবাশিসবাবু কি নিয়ম মেনেছিলেন? উত্তর মেলেনি। পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘‘সার্ভিস রিভলভার সাধারণত লক অবস্থাতেই থাকে। অনেক সময় রিভলভার পড়ে গেলে আনলক হয়ে যায়। সেই সময় রিভলভারের ট্রিগারে কোনও ভাবে হাত পড়ে গুলি বেরিয়েছে বলে অনুমান। তবে এ বিষয়ে তদন্ত হবে।”
হুগলি শিয়াখালার বাসিন্দা উত্তমবাবুর তিনমাস পরে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। উত্তমবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা বলেন, ‘‘আমরা কিছু বুঝতে পারছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy