— ফাইল চিত্র।
ফের পরীক্ষা বয়কট করল মালদহের গনি খান চৌধুরী নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (জিকেসিআইইটি) পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার ডিপ্লোমা চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের চতুর্থ সেমেস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা ছিল। পাঁচটি ট্রেডের প্রায় ১২০ জন পড়ুয়ার পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন কেউই পরীক্ষা দেননি বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত জুলাই মাসেও এই পরীক্ষা একবার বয়কট করেছিলেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়ারা অবশ্য জানিয়েছেন, একাধিক ই-মেল মারফত তাঁরা পরীক্ষা পিছনোর দাবি জানিয়েছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু পরীক্ষা পিছনো হয়নি।
একাধিক দাবি না মেটানোতেই এ দিন পরীক্ষা বয়কটের পথে যেতে হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। এ দিন বিকেলে কলেজের ডিরেক্টর পরমেশ্বর রাও আলাপতিকে ঘেরাও করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই কলেজ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন ছিল। ডিরেক্টরকে ঘেরাও করার পর মালদহ থানা থেকে বাড়তি পুলিশ সেখানে যায়। জিকেসিআইইটির আন্দোলনকারীদের পক্ষে নাসিম নাওয়াজ, সাহিন জাহেদিরা জানান, কলেজের সিভিল ও কম্পিউটার সায়েন্সের কোর্সের কোনও অনুমোদন এখনও নেই। অথচ ডিপ্লোমা কোর্সে পড়ানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মিডটার্ম পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছিল।
এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘যেখানে দু’টি কোর্সে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের (এআইসিটিই) অনুমোদন নেই সেখানে পরীক্ষা কীভাবে কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন এই প্রশ্ন তুলেই ডিরেক্টরকে ঘেরাও করা হয়। এ ছাড়া, ওই দু’টি কোর্সের অনুমোদন পেতে কলেজ কী পদক্ষেপ করেছে সেটাও আমাদের জানা দরকার।’’ জানা গিয়েছে, সন্ধে সাড়ে ৬টা অবধি ডিরেক্টর ঘেরাও রয়েছেন।
বিশাল পুলিশবাহিনী সেখান রয়েছে। ডিরেক্টর কোনও মন্তব্য না করলেও কলেজের সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রজ্জাক জানিয়েছেন, এ দিন পরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ পরীক্ষা দেননি এ দিন। পরে এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা ডিরেক্টরকে ঘেরাও করে। সিভিল ও কম্পিউটার সায়েন্সের কোর্সের অনুমোদন নিয়ে তারা নানা দাবি করে। কলেজের তরফে এআইসিটিই’র কাছে যা পদক্ষেপ করা হয়েছে তা পড়ুয়াদের জানানো হয়। আমরা দফতরে রয়েছি। পুলিশ রয়েছে। পড়ুয়াদের বোঝানো হচ্ছে।’’ গত ১৪ তারিখ জিকেসিআইইটি কর্তৃপক্ষ ডিপ্লোমা কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের চতুর্থ সেমেস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষার নোটিস জারি করেছিল। এ দিন থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ছিল। সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, ফুড টেকনোলজি, মেকানিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স— এই পাঁচটি বিভাগেরই পরীক্ষা তিনদিনে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম দিনেই পরীক্ষা বয়কট করলেন পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy