—ছবি পিটিআই।
চাঁচলকে পুরসভা করার দাবিতে অনেক বার আন্দোলনে নেমেছেন উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম নুর। এ বার তিনি শাসক দলে। তা হলে এ বার কি দীর্ঘ দিনের সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে? আশায় বুক বাঁধছেন চাঁচলের মানুষ। মৌসম নিজেও জানালেন, চাঁচলকে পুরসভা করতে উদ্যোগী হওয়াই এখন তাঁর প্রথম দায়িত্ব।
২০১০ সালের ১৬ জুলাই রাজ্যে ১৩টি পুরসভা গঠনের কথা ঘোষণা করেছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। তার মধ্যে ছিল মালদহের চাঁচলও। পরে রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৪ সালের ১১ জুন তৃণমূল সরকারের তরফেও ফের চাঁচলকে পুরসভা করার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আজও পুরসভা হয়নি চাঁচল। এই দাবি নিয়ে একাধিকবার কংগ্রেসের তরফে আন্দোলনে নেমেছেন মৌসম। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই এলাকার বাসিন্দাদের আশা, এবার মৌসমের দৌলতে পুরসভা পাবেন তাঁরা। এ ব্যাপারে মৌসম নিজে বলেন, ‘‘আমি এলাকার ১০ বছরের সাংসদ। ফলে চাঁচলের দাবিটা জানি। এটা রাজ্য সরকারের বিষয়। কিন্তু আগে তো আমাদের সরকার ছিল না। এবার আমার প্রথম কাজ চাঁচলকে পুরসভা করতে উদ্যোগী হওয়া। গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে বলব। আশা করি, তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।’’
২০০১ সালের ১ এপ্রিল চাঁচল মহকুমা গঠিত হয়। তারপর থেকেই চাঁচলে পুরসভা চালুর দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একাধিকবার আন্দোলন হয়। কিন্তু অথচ এই ১৮ বছর ধরে চাঁচলে পঞ্চায়েত প্রশাসনই রয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার স্বীকৃতি পেতে সেই শহরের কমপক্ষে ২০ হাজার জনসংখ্যা থাকা দরকার। সেখানে ১০টি মৌজা নিয়ে প্রস্তাবিত চাঁচল পুরসভায় ২০০১ সালের গণনা অনুসারে জনসংখ্যা ছিল ৪২৮৭৯। সেই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এর ফলে মহকুমা সদরের পরিষেবা দিতে প্রশাসনের পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকেও জেরবার হতে হচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত বিধানসভার আগে চাঁচলে নির্বাচনী প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, ‘‘চাঁচল পুরসভা হবে। কিন্তু আপনারা স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ দিন, যাঁরা এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ভাববেন। তাঁরাই তো আমার কাছে স্থানীয় গুরুত্বের কথা পৌঁছে দেবেন।’’ মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় বলেন, ‘‘চাঁচলকে পুরসভা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব নথিই রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো রয়েছে। পুরসভা চালুর নির্দেশ পেলেই প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy