মনুয়া ও অজিত । —ফাইল চিত্র।
মনুয়া-কাণ্ডে সওয়াল শুরু করলেন বিচারক।
মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছিল। বারাসতের মনুয়া মজুমদারে স্বামী অনুপম সিংহ হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযোগ (এফআইআর) এবং সাক্ষীদের বয়ান অনুযায়ী দুই অভিযুক্তকে
বুধবার সওয়াল শুরু করেন বারাসত জেলা আদালতের বিচারক বৈষ্ণব সরকার।
মনুয়া-কাণ্ডের শুনানির সময়ে এমনিতেই ভিড় হয় এজলাসে। প্রধান দুই অভিযুক্ত কী বলে, তা জানতে এজলাসে এ দিন ভিড় ছিল অন্য দিনের তুলনায় বেশি। নিয়ম অনুযায়ী, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে ৩১৩ ধারা অনুযায়ী বিচারক নিজেই অভিযুক্তদের সওয়াল করতে পারেন। অনুপম খুনের অন্যতম অভিযুক্ত মনুয়া মজুমদার এবং মনুয়ার প্রেমিক অজিত রায়কে এ দিন এফআইআরের বয়ান পড়ে শোনান বিচারক। তার ভিত্তিতে তাদের বেশ কিছু প্রশ্নও করেন তিনি।
শুধু এফআইআর-ই নয়, এর পরে বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান পড়ে তা নিয়ে অজিত এবং মনুয়াকে একের পর এক প্রশ্ন করেন বিচারক। এর আগে আদালতে অজিতকে একাধিক বার রুদ্র মূর্তিতে দেখা গিয়েছিল। প্রশ্ন করলে সে কখনও
সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে জলের বোতল ছুড়েছে, কখনও চিৎকার-চেঁচামেচি করেছে। তবে এ দিন শান্ত মেজাজেই ছিল সে। এই মামলার নবনিযুক্ত সরকারি আইনজীবী শ্যামল দত্ত জানান, বৃহস্পতিবারও চলবে সওয়াল পর্ব।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
২০১৭ সালের ৩ মে বারাসতে নিজের বাড়িতে খুন হন অনুপম। তদন্তে পুলিশ দাবি করেছিল, প্রেমিক অজিতকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের ছক কষেছিল মনুয়া নিজেই। আদালতে তার স্বপক্ষে একাধিক প্রমাণও দাখিল করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি এই মামলার সরকারি আইনজীবী বদল হয়েছে। প্রথম থেকে মামলা চালাচ্ছিলেন আইনজীবী বিপ্লব রায়।
গত ২৬ মার্চ তাঁকে সরকারি আইনজীবীদের প্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তা নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছে অনুপমের পরিবার। মঙ্গলবার তাঁরা এ নিয়ে আদালতে বিক্ষোভও দেখান। বুধবারও অনুপমের পরিজনেরা দাবি করেন, অভিযুক্তদের সুবিধে করে দিতেই সরকারি আইনজীবী বদল করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy