Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Sanyantan Basu

সায়ন্তনকে দলের শো-কজ, বার্তা কি দেওয়া একইসঙ্গে দিলীপ-বাবুলকেও

কোন মন্তব্যের জন্য ওই শাস্তি, তা চিঠিতে লেখা নেই। তবে বিজেপি-র অন্দরের খবর, জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে মন্তব্যের জেরেই ওই শাস্তি।

সায়ন্তন বসুকে শো-কজ করল বিজেপি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সায়ন্তন বসুকে শো-কজ করল বিজেপি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৫৬
Share: Save:

সংবাদমাধ্যমে দলবিরোধী এবং নিম্নরুচির মন্তব্য করার কারণে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু-সহ তিন নেতাকে শো-কজ করল রাজ্য বিজেপি।সায়ন্তনের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটার এক মণ্ডল সভাপতি এবং আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতিকেও শো-কজ করা হয়েছে।সেই চিঠিতে এই বিষয়েও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে যে, ওই কাজের জন্য সায়ন্তনদের কেন কড়া শাস্তি হবে না, তা নিয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে।

কোন মন্তব্যের জন্য ওই শাস্তি, তা চিঠিতে লেখা নেই। তবে বিজেপি-র অন্দরের খবর, জিতেন্দ্র তিওয়ারির দলে যোগদান নিয়ে মন্তব্যের জেরেই ওই শাস্তি। তবে জিতেন্দ্রের দলে যোগদানের বিরোধিতা করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয় এবং দিলীপ ঘোষও। আপাতদৃষ্টিতে তাঁদের কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ‘দিলীপের নির্দেশে’ই ওই শাস্তি বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। যা থেকে বিজেপি-র অন্দরের জল্পনা— সায়ন্তনকে শাস্তি দিয়ে আসলে বাবুল এবং দিলীপকেও বার্তা দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। যাকে বলে, ঝি-কে মেরে বউকে শেখানো। দিলীপকে দিয়ে ওই নির্দেশ দেওয়ানো এবং সে কথা শো কজের চিঠিতেও উল্লেখ করার মধ্যে একই উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দলের নেতাদের একাংশের ব্যাখ্যা।

চিঠি জানানো হয়েছে, সায়ন্তন বসু গত ১৮ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে দলবিরোধী এবং নিম্নরুচির মন্তব্য করেছেন। যা দলের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিরোধী। দল এই ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না।দলের সংবিধান অনুযায়ী, এমন মন্তব্যের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে। কেন তাঁকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে না, তা নিয়ে সাতদিনের মধ্যে সায়ন্তনের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। শো-কজের চিঠি প্রসঙ্গে সায়ন্তন যদিও বলেন, ‘‘আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিঠির উত্তর দেব।’’

সায়ন্তনের পাশাপাশি শো-কজ করা হয়েছে নাগরাকাটার মণ্ডল সভাপতি সন্তোষ হাতি, আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকেও। তিন জনের ক্ষেত্রেই শো-কজের কারণ এক। সন্তোষের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ১৯ ডিসেম্বর তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় যে সভা হয়েছে, সেখানে দলবিরোধী স্লোগান তোলা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে মণ্ডল সভাপতির সরাসরি হাত ছিল। সে কথাও চিঠিতে লেখা হয়েছে। নাগরাকাটার বিধায়ক শুক্রা মুণ্ডা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, সেখানেও দলবদল নিয়ে বিজেপি-র পুরনো নেতা-কর্মীরা উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন সন্তোষ। গঙ্গাপ্রসাদও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। দলের অন্দরের খবর, সে কারণেই শো-কজ করা হয়েছে তাঁদের। সন্তোষ এবং গঙ্গাপ্রসাদের সঙ্গে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে দু’জনের কেউই ফোন ধরেননি।

আরও পড়ুন: কাল কাঁথির সভায় আমন্ত্রণ শিশিরকে, জানালেন, অসুস্থ তাই থাকছেন না​

আরও পড়ুন: ঝগড়ুটে, স্বামীকে সন্দেহ, অত্যাচার, আইনি নোটিসে বিস্ফোরক সৌমিত্র​

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sanyantan Basu BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE