ফাইল চিত্র।
প্রশ্নটা মূলত স্বচ্ছতা নিয়ে। তাই সব দফতরে টেন্ডার কমিটি গড়ে টেন্ডার বা দরপত্র প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এত দিন শুধু পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, কেএমডিএ-র মতো কারিগরি-নির্ভর দফতর বা সংস্থায় টেন্ডার কমিটি ছিল। অর্থ দফতরের সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এ বার থেকে সব প্রশাসনিক দফতরকেই টেন্ডার কমিটি গঠন করতে হবে।
যুগ্মসচিব বা তার উপরের পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে মাথায় রেখে ওই কমিটিতে রাখা হবে ইঞ্জিনিয়ার বা কারিগরি বিশেষজ্ঞ, অর্থ উপদেষ্টা এবং দফতরের সচিবের মনোনীত অন্য এক আধিকারিককে। প্রশাসনের অন্দরের ব্যাখ্যা, প্রধানত যে-সব দফতরের অধীনে স্বশাসিত সংস্থা বা নিগম রয়েছে, সেগুলিতে এই কমিটি নীতি কার্যকর হবে।
এমন সিদ্ধান্ত কেন? কর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, এত দিন নিগম বা স্বশাসিত সংস্থাগুলি কোনও না-কোনও দফতরের অধীনে থাকলেও তাদের নিজস্ব টেন্ডার কমিটি ছিল। তারা নিজেদের মতো করে দরপত্র ডেকে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দিত নিজের দফতরে। অনুমোদন দেওয়া ছাড়া দরপত্র প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার উপায় দফতরের কর্তাদের হাতে সে-ভাবে ছিল না। ফলে ‘অনিয়ম’ ধরা পড়লেও সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া যেত না। এ বার দফতরের অধীনে গড়া টেন্ডার কমিটি সরাসরি দরপত্র প্রক্রিয়া দেখবে। ফলে অনৈতিক কাজকর্ম ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন অর্থ দফতরের কর্তারা। নতুন টেন্ডার কমিটিগুলির করণীয় কী, অর্থ দফতরের নির্দেশিকায় তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ১) দরপত্র সংক্রান্ত সব নথি যাচাই ছাড়াও সব নীতি মানা হয়েছে কি না, তা দেখবে কমিটি। ২) নির্দেশিকা ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে। ৩) দরপত্র নীতি যাতে মুষ্টিমেয় সংস্থাকে ‘সুবিধা’ করে দিতে না-পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ৪) বাজারদরের সঙ্গে প্রস্তাবিত দর যাচাই করে দেখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy