ভারতীয় জাদুঘরের এক আধিকারিক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করল সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)। শুধু নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগই নয়, গত দু’বছরে ওঠা একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতেও তদন্ত শুরু করেছে সিভিসি।
জাদুঘর সূত্রে খবর, সিভিসি যে বিষয়গুলি নিয়ে তদন্ত করছে তার মধ্যে রয়েছে কে কে কচুকোশির নিয়োগ। দু’বছর আগে জাদুঘরের কনসালট্যান্ট (প্রশাসন) পদে কচুকোশির নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বিজ্ঞাপনের নির্দেশ না মেনে প্রাক্তন অধিকর্তা বি বেণুগোপাল তাঁকে নিয়োগ করেন। এমনকী তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রকের নিয়মে ‘ক্যাটালগার’ বলে কোনও পদের অস্তিত্ব না থাকলেও, ভারতীয় জাদুঘরে ওই পদ তৈরি করে নিয়োগের অভিযোগও উঠেছে বেণু গোপালের বিরুদ্ধে। সিভিসি তা নিয়েও তদন্ত করছে বলে জানান সরকারি কর্মচারি পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অশোক সরকার।
অশোকবাবু আরও জানান, ২০০৮-০৯ সালে কেন্দ্রীয় তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রকের ১৬৮ পাতার রিপোর্টে পূর্ব-ভারতের ৪টি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। তাতে নিয়োগ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণ সরকারি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেই সময় পুরো বিষয়টিই ধামাচাপা পড়ে যায়। পরে ২০১৩ সালে বেণুগোপাল জাদুঘরের অধিকর্তা পদে বসার পরে দুর্নীতি বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, তাঁর আমলে নিয়োগের পাশাপাশি সংগ্রহশালা থেকে একাধিক মূর্তি পাচার, মুদ্রা নষ্ট হয়। অনেক জিনিস খাতায় নথিভুক্ত থাকলেও, বাস্তবে তার কোনও হদিস নেই বলেও জাদুঘরের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রকের পাশাপাশি সম্প্রতি সিভিসি-কে পুরো বিষয়টি জানানো হয় বলে অশোকবাবু শনিবার জানান। আর তার পরেই সিভিসি তদন্ত শুরু করেছে।
জাদুঘরের একাংশও এ দিন জানায়, সিভিসি মুখ্য সংরক্ষণ আধিকারিক সুনীল উপাধ্যায়ের নিখোঁজ নিয়েও তদন্ত করছে। যদিও জাদুঘরের অধিকর্তা সদ্য নিযুক্ত জয়ন্ত সেনগুপ্তের কাছে এ বিষয়ে কোনও খবর নেই বলেই তিনি এ দিন জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy