বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়ি গিয়ে তাঁর শরীরের খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোনও রাজনৈতিক নেতার বাড়ি গিয়ে রাজ্যপালের এমন সাক্ষাৎ যথেষ্টই ব্যতিক্রমী। তবে রাজ্যপাল ধনখড় জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কোনও আলোচনা তাঁর সঙ্গে বুদ্ধবাবুর হয়নি। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই গিয়েছিলেন।
অল্প দিন আগে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে বাংলায় এসেছেন ধনখড়। ইতিমধ্যে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। আলাদা ভাবে কথা হয়েছে কয়েক জন মন্ত্রীর সঙ্গে। চা-চক্রে সৌজন্যমূলক আলাপচারিতা হয়েছে বিরোধী শিবিরের কয়েক জন নেতার সঙ্গেও। রাজভবন থেকেই পাম অ্যাভিনিউয়ে বুদ্ধবাবুর আবাসনে বার্তা পাঠানো হয়েছিল, রাজ্যপাল বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। শারীরিক অসুবিধার কারণেই এখন আর ঘরের বাইরে পা দেন না বুদ্ধবাবু। তিনি যেমন সময় দেবেন, সেই অনুযায়ীই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী ছিলেন রাজ্যপাল। বুদ্ধবাবুর সম্মতি পেয়ে এ দিন বিকাল ৫টা নাগাদ তাঁর দু’কামরার ফ্ল্যাটে যান রাজ্যপাল। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল-পত্নী সুদেশ ধনখড়। বুদ্ধবাবু ও তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে মিনিট ২৫ সময় কাটান সস্ত্রীক রাজ্যপাল।
পরে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘ওঁকে আমি সম্মান করি। তাই দেখতে এসেছিলাম। শারীরিক খোঁজ-খবর নিয়েছি।’’ রাজনীতির বিষয়ে কোনও কথা হয়েছে কি? রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘‘রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে আসিনি। শরীর-স্বাস্থ্যের বিষয়েই কথা হয়েছে।’’ তাঁর সঙ্গে আগে কখনও বুদ্ধবাবুর দেখা হয়েছিল? রাজ্যপালের জবাব, ‘‘একাধিক বার দেখা হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন: খাগড়াগড় মামলায় দোষী ১৯ জনের সাজা ঘোষণা শুক্রবার
বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের সংযুক্ত মোর্চা সরকারের আমলে জনতা দলের নেতা ধনখড় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তী কালে তিনি ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ। সেই সময়েই কয়েক বার বুদ্ধবাবুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘নভেম্বর-ডিসেম্বরেই ভারত-পাক যুদ্ধ’! কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের মন্ত্রী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy