Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মেঘ-শামিয়ানায় উৎসব স্বস্তিতেই

এ দিন সকাল থেকেই আকাশে রোদের দেখা মেলেনি। গ্রীষ্মের চেনা দহনের বদলে মেঘের ছায়া ছিল সারা দিন। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি নেমেছে বিভিন্ন জেলায়। আকাশ মেঘলা থাকায় দিনের তাপমাত্রাও বাড়েনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:১৯
Share: Save:

মূল ভূখণ্ডে এখনও বর্ষা ঢোকেনি। তবু বুধবার কার্যত বর্ষার মেজাজেই ইদ কাটাল কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গ। সৌজন্যে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত ওই নিম্নচাপরেখা উৎসবের মেজাজে একেবারে জল ঢেলে দেয়নি। বরং মেঘের চাঁদোয়ায় রোদ ঠেকিয়ে স্বস্তি দিয়েছে উৎসবমুখর জনতাকে।

এ দিন সকাল থেকেই আকাশে রোদের দেখা মেলেনি। গ্রীষ্মের চেনা দহনের বদলে মেঘের ছায়া ছিল সারা দিন। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি নেমেছে বিভিন্ন জেলায়। আকাশ মেঘলা থাকায় দিনের তাপমাত্রাও বাড়েনি। বেলা আড়াইটেয় কলকাতার আলিপুরে তাপমাত্রা ছিল ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাকি জেলাগুলিতেও পারদ মাথাচাড়া দিতে পারেনি। সকাল থেকে মাঝেমধ্যেই শোনা গিয়েছে মেঘের ডাক, হয়েছে হাল্কা বৃষ্টিও। তা উপেক্ষা করেই পথেঘাটে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। রংবেরঙের পোশাকের সঙ্গে তাঁদের হাতে ছিল ছাতাও। সাময়িক হলেও উৎসবের দিনে দহনজ্বালা থেকে মুক্তি পাওয়ায় উপচে পড়েছে ইদের খুশি।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কাল, শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বন্ধ হতে পারে। তবে কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে আকাশ। তাপমাত্রা বেশি মাথাচাড়া দেবে না বলেই মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীরা।

এই মেঘ সমাগমে গরমের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি মিললেও আসল বর্ষার দেখা কবে মিলবে, তার কোনও নিশ্চয়তা এখনও নেই। দিল্লির মৌসম ভবন অবশ্য জানিয়েছে, আরব সাগরে বর্ষা সক্রিয় হয়েছে। কেরলেও প্রাক্‌-বর্ষা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে বর্ষা ঢুকতে পারে সেখানে। তবে মৌসুমি বায়ু এ রাজ্যে কবে পৌঁছবে, তা এখনই বলতে পারছেন না আবহবিজ্ঞানীরা। আলিপুর হাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞানীর কথায়, ‘‘বর্ষা কেরলে ঢোকার পরে তার চরিত্র বিশ্লেষণ করে এ ব্যাপারে কিছু বলা যেতে পারে।’’ সাধারণ ভাবে বাংলায় বর্ষা ঢোকে ৮ জুন। এ বার সেই দিনে বর্ষা পৌঁছবে কেরলে। ফলে এ রাজ্যে বর্ষা আসতে জুনের তৃতীয় সপ্তাহ গড়িয়ে যাবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।

আগমনে দেরি তো হচ্ছেই। শেষ পর্যন্ত বর্ষা এ বার কেমন হবে, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন। বৃষ্টির ঘাটতির দরুন ইতিমধ্যেই দক্ষিণ, মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু এলাকা খরার কবলে পড়েছে। একটি সূত্রের দাবি, কর্নাটকে জলসঙ্কটের প্রভাব পড়েছে নৌঘাঁটির উপরেও। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও বিদর্ভের কিছু এলাকায় আরও তিন-চার দিন তাপপ্রবাহ চলবে বলে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Weather Rain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE