Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ফ্রেট করিডরের জমির জট খুলছে

ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে জমিদাতারা বেঁকে বসায় জটিলতা তৈরি হয়েছিল ফ্রেট করিডরের কাজে। প্রশাসন সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করার পরে জট কাটার ইঙ্গিত মিলল গলসিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৫
Share: Save:

ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে জমিদাতারা বেঁকে বসায় জটিলতা তৈরি হয়েছিল ফ্রেট করিডরের কাজে। প্রশাসন সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করার পরে জট কাটার ইঙ্গিত মিলল গলসিতে।

সোমবার বর্ধমানের গলসি ১ ব্লক অফিসে ওই বৈঠকে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’র দেওয়া ক্ষতিপূরণের নতুন প্রস্তাবে সম্মতি জানায় ‘মানকর ভূমি রক্ষা কমিটি’। কমিটির সম্পাদক কল্লোল সিংহ রায় বলেন, ‘‘বেশির ভাগ জমি মালিকই ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি। বুধবার কমিটির সাধারণ সভা ডেকে তা চূড়ান্ত করা হবে।’’ জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, ‘‘জমিমালিকেরা যাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্ষতিপূরণ পান, তা নিশ্চিত করেই জমি নেওয়ার আলোচনা হয়েছে।’’

পণ্য পরিবহণের জন্য এ রাজ্যের ডানকুনি থেকে পঞ্জাবের দাদরি পর্যন্ত ১৮৩৯ কিলোমিটার ‘ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর’ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। তার মধ্যে এ রাজ্যে পড়ছে ২০৩ কিলোমিটার। কিন্তু আর পাঁচটা প্রকল্পের মতো জমি নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। রেলের কিছু নিজস্ব জমি রয়েছে, কিছু জমি আছে রাজ্য সরকারেরও। কিন্তু প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেও কিছু জমি নিতে হবে। বছর দুই আগে জমি অধিগ্রহণের নোটিস জারির পরেই বেঁকে বসেন গলসি ১ ব্লকের মানকর ও রাইপুর মৌজার শ’দেড়েক জমিমালিক। ‘ভূমি রক্ষা কমিটি’ গড়ে তাঁরা জানিয়ে দেন, বাজারদরের চেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ না পেলে জমি দেওয়া হবে না। বারবার বৈঠকেও জট খোলেনি।

এ দিন বৈঠকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার অন্যতম প্রকল্প আধিকারিক অপূর্ব দাস ও ভূমিরক্ষা কমিটির প্রতিনিধিরা ছাড়াও ছিলেন রাজ্য ভূমি অধিগ্রহণ দফতরের কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। দু’পক্ষের আলোচনার পরে সংস্থা যে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেয়, তার সঙ্গে সহমত হয় কমিটি। কল্লোলবাবুর দাবি, সংস্থার তরফে জমির বর্তমান বাজারদরের ৩.১ গুণ এবং বাড়ির দামের দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিবার পিছু এক জনের চাকরি, অন্যথায় এককালীন ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথাও বলা হয়েছে। যদি কেউ এককালীন ক্ষতিপূরণ না চান সে ক্ষেত্রে ২০ বছর ধরে মাসে দু’হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এই প্রস্তাবে তাঁদের আপত্তি নেই। বৈঠকে হাজির প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আশা করি, সমস্যা মিটে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Land Apurba Das
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE