ধুন্ধুমার: দাড়িভিটে ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে রাজভবন অভিযানে এসএফআই। মঙ্গলবার। ছবি:রণজিৎ নন্দী
ইসলামপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যে বন্ধ ডেকেছে বিজেপি। তার ২৪ ঘণ্টা আগে ইসলামপুর-কাণ্ড নিয়ে শহরের রাজপথে পুলিশকে ব্যস্ত রাখল বামেরা! তাদের দাবি, শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপরে গুলি চালনার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। সেই সঙ্গেই বামেদের অভিযোগ, শিক্ষা ক্ষেত্রের একটি গুরুতর সমস্যাকে ‘উর্দু নয়, বাংলা চাই’-এর স্লোগানে মুড়ে সাম্প্রদায়িক রং লাগাতে চাইছে বিজেপি। আর রাজ্যের শাসক দলের রাজনৈতিক কৌশল গেরুয়া শিবিরকেই মদত দিচ্ছে।
এসএফআই-সহ পাঁচটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন মঙ্গলবার ‘রাজভবন অভিযানে’র ডাক দিয়েছিল। আবার একই সময়ে পৃথক ভাবে ‘লালবাজার অভিযানে’র কর্মসূচি নিয়েছিল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। তারই মধ্যে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ছিল ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থায় প্রতারিত আমানতকারী ও এজেন্টদের এসইউসি-প্রভাবিত সংগঠনের জমায়েত। পাছে এক কর্মসূচির লোক অন্যটায় যোগ দিয়ে ঝামেলা পাকায়, সেই আশঙ্কায় পুলিশ মৌলালি মোড় থেকে ছাত্রদের মিছিল নির্ধারিত সময়ে শুরু করতে দেয়নি। পুলিশি বন্দোবস্তও ছিল বিপুল। ছাত্রদের মিছিল ধর্মতলার দিকে আসার আগেই ধর্মতলা থেকে ফ ব-র মিছিল এগিয়ে যায় লালবাজার অভিমুখে। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে মিছিলকে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের এক প্রস্ত বিবাদ বাধে। ম্যাটাডোর-মঞ্চ থেকেই ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ এখন এই সরকারকে অন্তর থেকে ঘৃণা করছে। ছাত্রমৃত্যুর পরেও তৃণমূল বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে।’’
এস এন ব্যানার্জি রোডে ছাত্র মিছিলও আটকানো হয় পুলিশি ব্যারিকেডে। ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের কিছু ক্ষণ ধস্তাধস্তি চলে। তার পরে একটি প্রতিনিধিদলকে রাজভবনে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এখন শহরে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy