—ফাইল চিত্র।
গোড়াতেই হোঁচট! ঘাটাল কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেবের প্রথম কর্মিসভার অনুমতি দিল না প্রশাসন।
আজ, সোমবার ঘাটাল শহরের বিদ্যাসাগর হাইস্কুল মাঠে ঘাটাল লোকসভা আসনের অধীন সাতটি বিধানসভার কর্মীদের সঙ্গে সভা করার কথা কথা ছিল দেবের। নিয়ম মেনে সময় মতো আবেদন না করাতেই ওই কর্মসূচির অনুমতি পাওয়া যায়নি। নিয়ম মতো এই ধরনের সভার ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টা আগে যাবতীয় তথ্য-সহ নির্বাচন কমিশনের ‘সুবিধা’ পোর্টালে আবেদন করতে হয়। সব ঠিকঠাক থাকলে আবেদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অনুমতি দেয় প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে নির্ঘণ্ট না মানাতেই বিপত্তি হয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অসীম পাল বলেন, “সময়ে আবেদন জমা পড়েনি। তাই ওই সভার অনুমতি দেওয়া যায়নি।”
কিন্তু এই ত্রুটি হল কী করে? সরাসরি এর জবাব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি শুধু বলেন, “সোমবারের বদলে সভা হবে বুধবার।” তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “এতে বোঝা গেল প্রশাসন শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে না। তাহলে দেবের মতো তারকার সভা প্রশাসন বাতিল করত না। চুপিসাড়েও অনুমতি পাওয়া যেত। আমরা সেই চেষ্টা করিনি।” প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার ঘাটাল স্টেডিয়ামে কর্মিসভার জন্য আবেদন জমা পড়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে প্রশ্ন উঠছে দেব যেখানে এই ঘাটাল কেন্দ্রেরই বিদায়ী সাংসদ এবং এ বারেরও প্রার্থী, সেখানে তাঁর প্রথম কর্মিসভা আয়োজনের ক্ষেত্রে কি তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কোনও গা-ছাড়া ভাব ছিল? ছিল বোঝাপড়ার অভাব?
বিষয়টা নিয়ে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধীরাও। বিজেপি-র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের মতে, “সাংসদ হলেও গত পাঁচ বছরে দেবের নাগাল ঘাটালের মানুষ পাননি। তা নিয়ে সবস্তরে ক্ষোভ রয়েছে। এমন ক্ষেত্রে দলের স্থানীয় নেতাদেরই জবাবদিহি করতে হয়। সে কারণে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যেও বহিরাগত তারকা প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। তাই প্রচারের গোড়াতেই আয়োজনে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।’’
দেবের প্রথম কর্মিসভাই বাতিল হয়ে যাওয়ায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মন ভার। অনেকেই পাঁচ বছর আগের স্মৃতি ঘাঁটছেন। লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার পরে দেব যখন প্রথম ঘাটালে পা রেখেছিলেন, জনতার উন্মাদনার অন্ত ছিল না। রোড শোয়ে ভিড় উপচে পড়ত, আধঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগত তিন ঘণ্টা।
এ বারও সেই ছবি ফিরবে বলেই আশায় তৃণমূল শিবির। তবে বাম-বিজেপি’র দাবি, পাঁচ বছরের আগের সে দিন যে আর নেই, প্রচারে এলে দেব দিব্যি তা টের পাবেন। কারণ, মানুষ তারকাদের সিনেমায় দেখতেই ভালবাসেন। আর ভোটের ময়দানে এমন মানুষকে চান, যিনি কাছের লোক, কাজের লোক, যিনি বছরভর পাশে থাকবেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য এই ধরনের কোনও ক্ষোভের কথা মানতে চাননি। তিনি বলছেন, “কোথাও যে কোনও ক্ষোভ নেই, ভোটের ফলেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে। এ বারও বড় ব্যবধানে জিতবেন দেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy