Advertisement
০৬ মে ২০২৪

বিরবাহার বিরুদ্ধে প্রার্থী বিরবাহাই!

তা হলে কি ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-র হয়েই ভোটে লড়বেন? বুধবার বিরবাহা হাঁসদা জানালেন, তাঁর ইচ্ছে তেমনই। আর চুনিবালার মন্তব্য, ‘‘দলে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সকলে একমত হলে বিরবাহা প্রার্থী হবে।’’

বিরবাহা।

বিরবাহা।

কিংশুক গুপ্ত
ঝাড়গ্রাম: শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫৫
Share: Save:

দু’জনের নাম বিরবাহা। একজনের পদবি সরেন। অন্য জনের হাঁসদা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়বেন তাঁরা।

ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী বিরবাহা সরেন। শাসক দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাঁওতালি সিনেমার ‘মহানায়িকা’ বিরবাহা হাঁসদা জানিয়ে দিলেন, ভোটে লড়বেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থী হলেন আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতা রবিন টুডুর স্ত্রী। আর সাঁওতালি সিনেমার মহানায়িকা, ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-র নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার মেয়ে। একই সঙ্গে দলের সম্পাদকও বটে।

তা হলে কি ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-র হয়েই ভোটে লড়বেন? বুধবার বিরবাহা হাঁসদা জানালেন, তাঁর ইচ্ছে তেমনই। আর চুনিবালার মন্তব্য, ‘‘দলে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সকলে একমত হলে বিরবাহা প্রার্থী হবে।’’ যদি দল প্রার্থী না করে? অভিনেত্রীর জবাব, ‘‘প্রয়োজন হলে নির্দল হয়ে লড়ব।’’ কেন এই সিদ্ধান্ত তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আদিবাসী সংগঠন চেয়েছিল আমি মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান ফিরিয়ে দিই। রাজি না হওয়ায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছিল। আজ আদিবাসী সমাজের একাংশ সমাজকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেই আমি প্রার্থী হচ্ছি।’’ আদিবাসী সংগঠনের নেতা রবিন বলেন, ‘‘আমাদের কেউই ওঁকে (বিরবাহা) মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সম্মান ফেরাতে বলেননি। একক সাংগঠনিক ক্ষমতায় মাঝি পারগানা মহলের প্রার্থীকে জেতানো সম্ভব নয়। আলোচনা ও সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই আমার স্ত্রী তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন।’’

মা ও মেয়ে: ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগর পল্লির বাড়িতে চুনিবালা হাঁসদার সঙ্গে বিরবাহা। নিজস্ব চিত্র

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের সমর্থনে বিনপুরে নির্দ‌ল প্রার্থী হয়ে হেরে যান চুনিবালা। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিনপুরে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-র হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিরবাহা। তৃণমূলের কাছে হেরে যান তিনিও। পরে ধীরে ধীরে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ‘সহজ’ হয় চুনিবালার। গত বছর অগস্টে ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে বিরবাহাকে সংবর্ধনাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নেও ডাক পড়েছিল বিরবাহা ও তাঁর মায়ের। তৃণমূলের অন্দরে অভিনেত্রীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল আলোচনাও।

আরও পড়ুন: স্বচ্ছ থাকুন, প্রার্থীদের নির্দেশ দিলেন মমতা

সাঁওতালি ভাষায় বিরবাহা শব্দের অর্থ হল ‘বুনো ফুল’। দুই ‘বুনো ফুল’ লড়বে ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রামে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, ‘‘বিরবাহা সরেনের জয় নিশ্চিত। আর যে কেউ প্রার্থী হলেও সুবিধা করতে পারবেন না।’’

আরও পড়ুন: অর্জুনের লক্ষ্য ‘বিজেপি’, ‘মুক্তি’ দিলেন নেত্রী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Birbaha Soren Jhargram Lok Sabha Election 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE