রাজু বিস্তা
বাড়ি তাঁর ভিন্ রাজ্যে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি মাটিগাড়ায়। রবিবার রাতে সেই রাজু বিস্তাকে দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী করে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যেন জুড়ে দিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
রাজু এ দিন বাগডোগরায় নেমে সোজা দার্জিলিং চলে যান। মাটিগাড়ার খাপরাইল মোড়ের সৈনিকপুরি এলাকা থেকে এ দিন তাঁর শাশুড়ি ভারতী ছেত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। ভারতী বলেন, ‘‘আমরা জামাইয়ের হয়ে আজ থেকেই প্রচার শুরু করব।’’
রাজু জুড়ে দিয়েছেন এক সময়ে যুযুধান জিএনএলএফ এবং বিমল গুরুংকেও। এ দিন বাগডোগরা জুড়ে সুবাস ঘিসিংয়ের দলের পতাকায় ছয়লাপ। আর তার সঙ্গে মুহুর্মুহু স্লোগান, ‘বিমল গুরুং জিন্দাবাদ’। বহু দিন পরে দেখা গেল বিমলপন্থী নেতা রমেশ আলে, লোপসাং তামাংদের। সঙ্গে মন ঘিসিংয়ের হাসি মুখে ‘ভি’ দেখানো ছবি নিঃসন্দেহে বিজেপি প্রার্থীর জন্য মন ভরানো ‘বিজ্ঞাপন’।
রাজু নিজেও বললেন, ‘‘সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার চেয়ে বেশি ভোটে জিতব।’’ তবে অহলুওয়ালিয়াকে নিয়ে সাবধানী বিস্তা। বলেন, ‘‘উনি প্রবীণ নেতা। কোনও মন্তব্য করব না।’’ সাবধান গোর্খাল্যান্ড নিয়েও। বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আলোচনা করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি যা জানানোর জানাবে।’’
বিমানবন্দর থেকে হুডখোলা জিপে সুকনা পর্যন্ত যান বিস্তা। সঙ্গে জিএনএলএফের মুখপাত্র নীরজ জিম্বা এবং দার্জিলিং জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী। সঙ্গে পাহাড় থেকে আসা শতাধিক গাড়িও। সুকনা থেকে সোজা দার্জিলিং চলে যান তিনি। সেখানে দলের পাহাড় কমিটির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন। কথা বলেন কয়েকটি অরাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গেও। আজ, মঙ্গলবার মননোয়ন জমা দেবেন রাজু।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে এ দিন এতটাই ভিড় হয়েছিল যে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রার্থীকে ফুল, খাদা দিতে সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। অনেকেই অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। নীরজের বক্তব্য, ‘‘সবটাই মানুষের আবেগ।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন প্রার্থীর সঙ্গেই আসেন জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিং। তিনি বলেন, ‘‘রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, রাজু বিপুল ভোটে জিতবে।’’ বিমলপন্থী মোর্চার কার্যকারী সভাপতি লোপসাং তামাং বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষ বিনয় তামাং ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে।’’
বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করেছেন বিনয় তামাং। তিনি বলেন, ‘‘বিমল গুরুংপন্থী ও জিএনএলএফ নেতারা বলেছিলেন প্রার্থী হবে ভূমিপুত্র। অথচ মণিপুর থেকে ব্যবসায়ীকে ধরে এনে প্রার্থী করা হল। আগে বলেছিলাম দেড় লক্ষ ভোটে জিতব। ওরা যে প্রার্থী দিয়েছে, তাতে আমরা আরও বেশি ভোটে জিতব।’’ রাজু অবশ্য বললেন, ‘‘বিনয় পাহাড়ে ফ্যাক্টরই নন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy