বিধানসভা, পঞ্চায়েত এবং গত লোকসভা ভোটের সময় রক্তাক্ত হয়েছে রাজ্য। ভোটের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে, সে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা, পঞ্চায়েত এবং গত লোকসভা ভোটের সময় রক্তাক্ত হয়েছে রাজ্য। বহু মানুষ রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন বলেও অভিযোগ।
প্রতিটি দফায় যাতে পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন করা যায়, সে কারণেই কমিশন সাত দফায় নির্বাচনের পক্ষে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এই নির্বাচনে ভোটারদের মনোবল বাড়াতে এখন থেকেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে রাজ্যের মুখ নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
অস্ত্র উদ্ধার, নির্বাচনের আগে দাগী দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি রাজ্যে পুলিশকে বেআইনি মদের ভাটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ পৌঁছেছে পুলিশের কাছে। রাজ্যে ১১ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। আর ঠিক এক মাস বাকি। সূত্রের খবর, জামিনঅযোগ্য ধারায় প্রায় ৬০ হাজার অভিযুক্ত এখনও অধরা। অভিযুক্তদের মধ্যের দাগী দুষ্কৃতীরা রয়েছে। ওই সব অভিযুক্তদের দ্রুত যাতে গ্রেফতার করা যায়, সে বিষয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন?
পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তা এখনও জানা যায়নি। তার আগেই ভোটারদের মনোবল বাড়াতে, পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। স্পর্শকাতর বুথগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ওই সব কেন্দ্রে আরও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোন আসনে কে, শুরু দর কষাকষি
আরও পড়ুন: এত দফায় ভোট কেন, প্রশ্ন তৃণমূলের
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় নির্বাচন, দেখে নিন কবে-কোথায় ভোট
গত কয়েকটি নির্বাচনের সময় গোলমালে নাম জড়িয়েছে, এমন অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে রয়েছে রয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কড়া মনোভাবের কারণে এবং পুলিশের তৎপরতায় ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার অভিযুক্ত ধরা পড়়েছে। কয়েক মাস আগেও জামিনঅযোগ্য ধারায় প্রায় এক লক্ষ অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছিল। এখন সেই সংখ্যাটা ৬০ হাজারে নেমে গিয়েছে। এই এক মাসে বাকি অভিযুক্তদের যাতে আরও দ্রুত গ্রেফতার করা যায়, সে জন্য তল্লাশি চলছে।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরজানতে পড়ুন আমাদেররাজ্যবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy