মুহূর্ত: শনিবার হাসিমারায় জনসভার মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার। ছবি: নারায়ণ দে
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ময়নাগুড়িতে প্রচার করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। চা বাগান খুলে দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি নির্বাচনের মরসুমে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য়ে প্রচারে আসা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।
ভোটের মরসুমে রাজ্যে প্রচারে আসার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে বসন্তের কোকিল বলে কটাক্ষ করেন মমতা। মুখ খোলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা নিয়েও। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই-ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হানা দেওয়া হচ্ছে।’’ রাজ্যে কোনও ভাবে এনআরসি চালু করা যাবে না বলেও নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শনিবারও আলিপুরদুয়ার জেলায় নির্বাচনী জনসভায় চা শ্রমিকদের মন জয়ের চেষ্টায় নামেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন প্রথমে বারবিশা ও তার পর সিমারায় জনসভা করেন তিনি। দু’টি জনসভাতেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে বারবার উঠে আসে চা বাগানের কথা। জমির পাট্টা ও ন্যূনতম মজুরি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই দাবি জানিয়ে আসছেন চা শ্রমিকরা।
কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী-
এনআরসি করবে বলছে বাংলায়। আমরা বলছি, গায়ে হাত দিয়ে দেখো! আমরা বুঝে নেব। ওরা ইতিহাস মানে না। নেতাজি, গাঁধীজিকে মানে না। কলেজ, পলিটেকনিক, কর্মতীর্থ, সব করেছি আমি। আমরা কৃষিজমিতে নিজ পরিবারে জমি হস্তান্তরে মিউটেশন মকুব করেছি। স্বাধীনতার পর থেকে এত কিছু আপনারা পাননি, যা এই সরকার করেছে। ভাবছেন, দু’জন নির্বাচন আধিকারিককে সরিয়ে ভোটে জিতবে। বারাণসীর গঙ্গা পরিষ্কার করতে পারেন না। আবার বাংলার দিকে তাকাচ্ছে। বাংলায় যা কিছু হচ্ছে সব হিসেব দিয়ে দেব। বাংলার সঙ্গে এত হিংসা কেন? প্রতিশ্রুতি মতো একটা চা বাগানও অধিগ্রহণ করা হয়নি। বসন্তের কোকিলের মতো আসেন উনি। এমন অসৌজন্যমূলক প্রধানমন্ত্রী আমি দেখিনি। যে লোকটি সভা নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপির, তিনি সারদা-নারদায় অভিযুক্ত। তাঁদের পাশে নিয়েই মোদী নারদা-সারদার অভিযোগ করছেন। জলপাইগুড়ির বন্যায় কোনও খোঁজ নিয়েছেন? মোদীকে তোপ মমতার বাংলার নামবদল আটকে রেখেছে ওরা, উত্তরবঙ্গে এসে নাটক করছেন মোদী। নির্বাচনের সময় ১০০০ টাকা দিয়ে মিছিলে নিয়ে যাচ্ছে ওরা। ৩৬৫ দিন কি ভাবে চালাবে ঘুষ দিয়ে? স্বাস্থ্যসাথীর স্মার্টকার্ড দিচ্ছি মহিলাদের, যাতে ওরা সারা পরিবারের দেখাশোনা করতে পারে। কমলনাথ ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। সিবিআই-ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হানা দেওয়া হচ্ছে। মোদীকে মানুষ ছুঁড়ে ফেলে দেবে। ২কোটি ৭ লক্ষ ছেলেমেয়ে স্কলারশিপ পেয়েছেন বাংলায়। অসমে কোনও কাজ করেনি বিজেপি, ওরা বাংলায় এসে চিকিৎসা করে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy