প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য, তার মাঝে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাত ১০টার কিছু পরে রাজভবনে পৌঁছেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সেখানেই থাকার কথা।
লোকসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় এসেছেন মোদী। শুক্রবার তিনটি কেন্দ্রে তাঁর সভা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনে থেকে শুক্রবার সকালে বর্ধমানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু মোদী আসার আগেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। যাকে অনেকে সাম্প্রতিক অতীতে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় যান মহিলা। নিজেকে তিনি রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী বলে দাবি করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যপাল স্বয়ং। তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সত্যের জয় হবেই। কৌশলী আখ্যানের সামনে তিনি মাথা নত করবেন না। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘‘যদি আমার বদনাম করে কেউ ভোটে ফায়দা তুলতে চান, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। কিন্তু তাঁরা বাংলায় দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবেন না।’’
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল মোদীর। তাঁর বিমান কলকাতার মাটি ছুঁতে কিছুটা দেরি করে। ১০টার পর তিনি রাজভবনে পৌঁছন। প্রধানমন্ত্রীর সূচি অনুযায়ী, রাতে রাজভবনে থেকে শুক্রবার সকালে তিনি পৌঁছে যাবেন বর্ধমানে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এবং অসীমকুমার সরকারের সমর্থনে বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাঁই কমপ্লেক্সে তাঁর সভা রয়েছে। সেখান থেকে মোদী হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে। সেখানে তেহট্টে একটি জনসভা করবেন তিনি। সেখান থেকে যাবেন বোলপুরে। চতুর্থ দফায় আগামী ১৩ মে এই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy