কেন্দ্র জানিয়েছে, গত দু’মাসে কয়েক বার চিঠি দিয়ে রাজ্যকে এই পদ্ধতি মানতে বলা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে গোটা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু রাজ্য সরকার আইনশৃঙ্খলার প্রাত্যহিক রিপোর্ট নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পাঠাচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলল তারা।
নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তথ্য চেয়ে সব রাজ্যকেই চিঠি লিখেছে কেন্দ্র। দৈনিক সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে বিশেষ পদ্ধতিতে। প্রশাসনিক ব্যাখ্যায়, নতুন সেই পদ্ধতি হল ‘ইনসিডেন্ট রেটিং সিস্টেম’ বা আইআরএস। সেই পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট রোজ পাঠানোর কথা পশ্চিমবঙ্গেরও। কিন্তু পদ্ধতি মেনে তা পাঠানো হচ্ছে না বলে কেন্দ্রের অভিযোগ। তাই সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে আরও একটি চিঠি পাঠিয়ে সেই পদ্ধতি মেনে চলার কথা মনে করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, চিঠিটি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-কে। কেন্দ্র জানিয়েছে, গত দু’মাসে কয়েক বার চিঠি দিয়ে রাজ্যকে এই পদ্ধতি মানতে বলা হয়েছিল। তার পরেও রাজ্যের তরফে কেন প্রাত্যহিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট আইআরএস পদ্ধতিতে পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মন্ত্রক। সাম্প্রতিক চিঠিতে আইআরএসের বিষয়টি আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যসচিবকে ইতিবাচক পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্র।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কেন এমন নির্দেশ? আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, নির্বাচন হবে গোটা দেশে। ভোট-নিরাপত্তার জন্য সারা দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে এই ব্যাপারে নির্ভর করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের উপরেও। প্রাত্যহিক আইনশৃঙ্খলার তথ্য হাতে থাকলে সেই কাজে সুবিধা হবে। নিরাপত্তাকর্মীদেরও উপযুক্ত পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ ভাবে ব্যবহার করা যাবে। সম্ভবত সেই জন্যই এমন পদ্ধতি মেনে চলার বিষয়টির উপরে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
প্রশাসনিক আধিকারিকদের অন্য একটি অংশের দাবি, সাধারণত সব নির্বাচনেই রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবনে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। তা থাকে রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-র অধীনে। সব জেলা থেকে প্রতিদিন সেই কন্ট্রোল রুমে আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট পৌঁছয়। সেই রিপোর্ট রোজই পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে। তার ভিত্তিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখভাল করে কমিশন। ফলে আইআরএস পদ্ধতি আলাদা করে মানার যুক্তি কী, সেই প্রশ্ন তুলছেন ওই আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy