মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বরাবর তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ কলকাতা। তবু সেই খাস তালুকেই গত বার লোকসভা ভোটে প্রভাব বাড়িয়েছিল বিজেপি। এ বার দক্ষিণ কলকাতার কাউন্সিলরদের তাই দলীয় প্রার্থীর জন্য ‘লিড’ আনতে বাড়তি তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সঙ্গেই দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁদের বার্তা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রার্থী— এই কথা মাথায় রেখে ভোটের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে এ বার প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল। নজরুল মঞ্চে রবিবার ওই লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে দলের কর্মিসভায় বিদায়ী সাংসদ সুব্রত বক্সী বলেছেন, ‘‘যে যেখানে দায়িত্ব পাবেন, কাজ করবেন। মনে রাখবেন, আমরা কেউ কারও লোক নই। সবাই জোড়া ফুল প্রতীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে লড়ছি। সব জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রার্থী, এটা তাঁর লড়াই, এই কথা মনে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’’ শুধু দক্ষিণ কলকাতাই নয়, গোটা রাজ্যেই এখন তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই— এই বার্তা দিয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত করারও চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। বক্সীর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি বলছে, তাদের কাছে প্রার্থী দেওয়ার যোগ্য লোকের অভাব। সিপিএম বলছে, ২২-২৫টার বেশি আসনে লড়তে পারবে না। কংগ্রেস বলছে, ১৫-১৭ আসনের বেশি তাদের লড়ার ক্ষমতা নেই। আমাদের কাছে তাই কোনও প্রতিপক্ষ নেই!’’
পাঁচ বছর আগে দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু ওয়ার্ডে ‘লিড’ পেয়েছিল বিজেপি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাই এ দিনের কর্মিসভায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘জিতে যাব, এমন অতি আত্মবিশ্বাস যেন না হয়! বেশি ব্যবধানে জেতাতে হবে, এটাই লক্ষ্য। বহুতল থেকে বস্তি, সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কাজের কথা বলতে হবে। প্রার্থী মমতা, এটা ভেবে দলকে জেতাতে হবে।’’ পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘‘আমরা যারা কাউন্সির আছি, তাদের মধ্যে একটা সুন্দর প্রতিযোগিতা হোক। কে কার থেকে বেশি লিড দেব! এর পরে আবার পুরসভার ভোট। তখন আমাদের লড়াই। তার আগে পরীক্ষা হয়ে যাক। এটাই আসল লড়াই।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মেয়র মনে করিয়ে দিয়েছেন, সারা বছর কাউন্সিলরেরা পরিষেবা দেন। কাউন্সিলরদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, মানুষের কাছে গিয়ে বলতে হবে, সারা বছর পরিষেবার বিনিময়ে এক দিন প্রতিদান চাই। দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের এ বারের প্রার্থী মালা রায় পুর-রাজনীতি থেকেই উঠে আসা। তাঁকে নিয়ে লোকসভা লড়াইয়ে নেমে পড়তে কাউন্সিলরদের যে কোনও অসুবিধাই নেই, তা-ও বলেছেন শাসক দলের নেতৃত্ব। আর প্রকাশ্যে মুখ খোলার সময়ে একই সুর বজায় রাখার জন্য সকলকে সর্তক করে দিয়েছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy