পাঁচ বছর বাদে বালুরঘাটে পা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল, শুক্রবার বালুরঘাটে অর্পিতার হয়ে প্রচার করবেন তিনি। ২০১৪-এ লোকসভা ভোটে অর্পিতার প্রচারে তিনি শেষবার বালুরঘাটে এসেছিলেন। এর পরে ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোট প্রচারে কুমারগঞ্জ, কুশমণ্ডিতে এলেও বালুরঘাটে সভা করেননি। এসেছিলেন যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জেলার ৬টি বিধানভার মধ্যে ৪টিতে হেরে যায় তৃণমূল। হরিরামপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লবের মিত্রের মতো বালুরঘাটে হেরে যান প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীও।
এর পরে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, কুশমণ্ডিতে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও এড়িয়ে গিয়েছেন বালুরঘাট। ফলে কাল তাঁর সভায় ভিড় উপচে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাতেও দলের একাংশ নেতা আশঙ্কায়। কারণ, মাঠ বদলের জেরে বুনিয়াদপুরের সভায় ভিড় কম দেখে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফলে, ১৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রীর বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরের দু’টি সভার মাঠ ভরানো নিয়ে বুধবার আসরে নামতে হয়েছে বিপ্লবকে। বালুরঘাটের টাউন ক্লাবের মাঠে মমতার সভা ভরাতে দ্বন্দ্ব ভুলে এখন ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল।
এ দিন ওই মাঠে হেলিকপ্টার মহড়া দেওয়া থেকে মঞ্চসজ্জার কাজ দেখতে প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর পুত্র ঋতব্রতকে নিয়ে বিপ্লবকে তদারকি করতে দেখা যায়। বিপ্লব বলেন, ‘‘শঙ্করদাকে ভোট না দিয়ে বালুরঘাটের অনেক মানুষ এখন অনুশোচনা করেন। দলনেত্রীরও মনোক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু বালুরঘাটে উন্নয়নের কাজে তিনি কোনও খামতি রাখেননি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় মানুষের ঢল নামবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy