জনসম্পর্ক: ভোটের প্রচারে ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরে সিপিএমের রামচন্দ্র ডোম।
একদিকে তৃণমূলের নকুলদানা, অন্যদিকে সিপিএমের নিম্বুপানি। নেহাতই নিরামিষ দুটি খাবার ও পানীয় বীরভূমের ভোটবাজারে যাবতীয় তরজাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।
নকুলদানা নিয়ে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতির নিদানের পর জল নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত গড়িয়েছে। শো-কজও করা হয়েছে অনুব্রতকে। আর এবার নকুলদানার পাল্টা দাওয়াই নিম্বুপানি বলছেন সিপিএম নেতারা। বোলপুরের বামপ্রার্থী সিপিএমের রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘ওঁদের পছন্দ ওঁরা নকুলদানা খান। কিন্তু ভোটের সময় এই গরমে নকুলদানা নয়, দরকার লেবুজল। তাই নিম্বুপানি খাওয়ার কথা বলেছি।’’
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ ভোটার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যেককে নকুলদানা খাওয়ানোর নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রত। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। জেলা সভাপতির এই বক্তব্যের পরে নকুলদানার বাজার চড়চড়িয়ে উঠতে থাকে। দিনকয়েক আগেই নকুলদানার পাল্টা মিহিদানা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন একদা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বর্তমানে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। এবার সিপিএমের পক্ষ থেকে নকুলদানার পাল্টা নিম্বুপানির তত্ত্ব নিয়ে পথে নামলেন রামচন্দ্র ডোম।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কীর্ণাহারে বিজেপির রামপ্রসাদ দাস। শনিবার।
এদিকে শনিবার মুরারই নতুন বাজারে অনুব্রত একটি নির্বাচনী সভায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রামচন্দ্র ডোম খুব অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ওঁকে লেবুজল খাওয়াতে হবে। ওঁর তো বয়স হয়েছে। হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। আবার ভোটটা পিছিয়ে যাবে।’’ অনুব্রত এ দিন আরও বলেন, “একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিজেপি এ রাজ্যে আটটি আসনে জিতবে। আমি বলছি আমাদের ৪২ এ ৪২ হবে। যদি মোদীজি এখান থেকে আটটি আসন পান তাহলে আমি আর রাজনীতি করব না।’’
লাভপুরের ফুল্লরা মন্দিরে কংগ্রেসের অভিজিৎ সাহা।
নকুলদানা নিয়ে বিতর্কের জেরে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শো-কজ করা হয়েছে তৃণমূলে বীরভূম জেলা সভাপতিকে। জবাবে তিনি নকুলদানা প্রসাদ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর। এ দিন মুরারইয়ে শতাব্দী রায়ের সমর্থনে সভায় প্রসাদী নকুলদানা বিলি করলেন এক পুরোহিত এক মৌলবী। পুরোহিত ক্ষুদিরাম মুখোপাধ্যায় ও মৌলবী ফরিদ শেখ বলেন, “আমরা শতাব্দী রায়ের জয়ের আশায় মুরারই রক্ষাকালী মন্দিরে ও দাতাবাবার মাজারে সিন্নি চড়িয়েছি। সেটাই কর্মীদের বিতরণ করলাম।”
নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy