পরিবার পরিচিতদের জন্য এসেছিল এক হাজার টাকার মিষ্টি। আর হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের জন্য দু’হাজার টাকার সবুজ রসগোল্লা। রাজ্যে দ্বিতীয় বারের জন্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আনন্দ এ ভাবেই উদযাপন করলেন এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে ভর্তি জেলবন্দি মদন মিত্র।
শুক্রবার রাতে মদনের এক অনুগামীর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, এতেই দাদার আনন্দ। তাই তো এত মিষ্টি এনে বিলি করলেন!’’
অনুগামীদের দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার পরে হারের জন্য কিছুটা মন খারাপ থাকলেও এখন তা নিয়ে ভাবতে চান না মদন। তাঁর কাছে এখন বড় পাওনা ২১১ আসন নিয়ে ফের মমতার ক্ষমতায় আসা। এ দিন সকাল থেকেই মদন বার বার অনুগামীদের বলেছেন— সৈনিক কখনও নিজের হার নিয়ে ভাবে না। দলের জয়টাই আসল।
এ দিন সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে চা খেয়েই কেবিনের টিভিতে চোখ রাখেন মদন। ডেকে নেন পরিবারের লোকেদেরও। সবার সঙ্গে দেখেন রেড রোডে শপথ অনুষ্ঠান। মদনের এক অনুগামী জানান, দেখতে দেখতেই কখন যেন টাইম মেশিনে পাঁচ বছর আগে ফিরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ১২টা ৪০ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীর পরে যখন একে একে অন্য মন্ত্রীরা শপথ নিচ্ছিলেন, তখন বারে বারে মদন বলেছেন, তিনিও যেন মঞ্চেই রয়েছেন। শপথ বাক্য পড়ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাদামাটা শাড়ি, হাওয়াই চটি দেখে দাদা বার বার তালি দিয়ে বলছেন—‘‘দেখেছ কত সাধারণ। এই না-হলে নেত্রী!’’
টানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিভিতে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক, মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন দেখেছেন মদন।
এ সবের মাঝে বার বার মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে গল্প করেন। জানিয়েছেন, ২০১১-এ কামারহাটিতে প্রার্থী হয়ে প্রথম প্রচারে যাওয়ার দিন তাঁর হাতে একটা ঠাকুরের ফুল আর ১০টা টাকা গুঁজে দিয়েছিলেন মমতা। বলেছিলেন, ‘‘জয়ী হয়ে ফিরো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy