Advertisement
১১ মে ২০২৪

উন্নয়নের হাল যাচাইয়ে মলয়

নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ থেকে স্পষ্ট, উন্নয়নের কাজে তিনি কোনও ঢিলেমি দেখতে রাজি নন। বিভিন্ন পর্যালোচনা বৈঠকে প্রায় নিয়ম করে তিনি সচিবদের জানিয়ে দিয়েছেন, টাকার জোগান নিয়ে কাউকে ভাবতে হবে না। কিন্তু উন্নয়নের কাজ যেন কোনও মতেই থমকে না-থাকে। মুখ্যসচিব বরাদ্দ টাকা খরচের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি মিলেয়ে দেখবেন।’’

মুখ্যসচিব মলয় দে। ফাইল চিত্র।

মুখ্যসচিব মলয় দে। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪০
Share: Save:

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিসেম্বরের মধ্যে উন্নয়নের যাবতীয় কাজ শেষ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই নির্দেশ রূপায়ণের পথে কোন দফতর কতটা এগোল, তা খতিয়ে দেখতে ৩১ অক্টোবর সব সচিবকে বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যসচিব মলয় দে। নবান্ন সূত্রের খবর, বৈঠকে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনার সঙ্গে সঙ্গে নানান কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা কী ভাবে খরচ করা হবে, তার রূপরেখা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।

নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধরে নেওয়া হচ্ছে, আসন্ন শীতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তার আগে উন্নয়নের কাজ, বিশেষত গ্রামীণ পরিকাঠামো তৈরিতে কোন দফতর কতটা সক্রিয়, সেটা যাচাই করে নিতে চাইছে সরকার।’’ ওই কর্তার কথায়, অনেক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এখন রাজ্য সরকারের আর্থিক অংশীদারি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। টানাটানির সংসারে উন্নয়নের স্বার্থে সেই টাকা জোগান দিচ্ছে অর্থ দফতর। তার সুফল কতটা মিলছে, তথ্য ও পরিসংখ্যান-সহ সেটাই বুঝে নিচ্ছে নবান্ন। অর্থ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সরাসরি পৌঁছয় জেলাশাসকের কাছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ বা সদ্ব্যবহার শংসাপত্র পেশ করার পরে বরাদ্দ টাকা মেলে। বৈঠকে সেই সব কিছুই খতিয়ে দেখে হবে।

গত মাসের গোড়ায় নবান্নের সভাঘরে সব দফতরের কাজের পর্যালোচনায় অভিযোগ উঠেছিল, অর্থ দফতরের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার পরেও বেশ কিছু দফতর কাজ না-করে সেই অর্থ পার্সোনাল লেজার (পিএল) অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রাখছে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই টাকা পিএল অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নির্দিষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ করতে হবে। নইলে অর্থ দফতর তা ফিরিয়ে নেবে। নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ থেকে স্পষ্ট, উন্নয়নের কাজে তিনি কোনও ঢিলেমি দেখতে রাজি নন। বিভিন্ন পর্যালোচনা বৈঠকে প্রায় নিয়ম করে তিনি সচিবদের জানিয়ে দিয়েছেন, টাকার জোগান নিয়ে কাউকে ভাবতে হবে না। কিন্তু উন্নয়নের কাজ যেন কোনও মতেই থমকে না-থাকে। মুখ্যসচিব বরাদ্দ টাকা খরচের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি মিলেয়ে দেখবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

মলয় দে Malay dey
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE