Advertisement
০২ মে ২০২৪
Midday Meal

সপ্তাহে দু’দিন মাছ-ডিম বাধ্যতামূলক, মিড-ডে মিলের মেনু বেঁধে দিল রাজ্য

মিড-ডে মিল নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত চলতি সপ্তাহে হয়।

মিড -ডে মিল দুর্নীতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের। —ফাইল চিত্র।

মিড -ডে মিল দুর্নীতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদাদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ১৪:১৩
Share: Save:

প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ চার টাকা ৪৮ পয়সা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে বরাদ্দ ছ’টাকা ৭১ পয়সা।

কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর ও বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং হুগলির জেলাশাসক ওই মিলের জন্য যে-মেনু তৈরি করেছেন, এই সামান্য টাকায় তা কী ভাবে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সর্বস্তরে। তিনটি তালিকাতেই আছে, সপ্তাহে দু’দিন ডিমের তরকারি দিতে হবে। এ ছাড়া আছে এক দিন আলুপোস্ত। এবং দু’দিন চাটনি, সয়াবিন, ডাল আর তরকারি। হুগলি ও বীরভূমের তালিকায় সপ্তাহে এক দিন মুরগির মাংস এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তালিকায় ডিমের বদলে মাছের ঝোলের কথা বলা হয়েছে। এই মেনু কোনও ভাবেই বাস্তবসম্মত নয় বলে শুক্রবার জানান বিকাশ ভবনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

এমন খাদ্য-তালিকা দেখে দিনভর শোরগোল চলে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে প্রশ্ন উঠছে মাছের দাম এবং আলুপোস্তের খরচ নিয়ে। পোস্ত ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি। রুই বা চারাপোনার দামও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। টোম্যাটোর দামও বেশ বেশি। দিনভর চর্চায় কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দাবি তোলেন, এই খাদ্য-তালিকা চালিয়ে যেতে হলে মিড-ডে মিলের বাজেট বাড়াতে হবে।

নয়া মেনু। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরও পড়ুন: ভিড়ের চাপে পাঁচিল ভাঙল কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ২, জখম ২৮​

শিক্ষক মহলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, মাছের কাঁটা খুদে পড়ুয়াদের গলায় লেগে বিপদ ঘটতে পারে। মেনু তৈরির সময় দাম ছাড়াও এটা বিবেচনার মধ্যে রাখা হল না কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেক শিক্ষক। কিছু শিক্ষকের বক্তব্য, স্কুলের সব পড়ুয়া তো মিড-ডে মিল খায় না। তাই যারা খায়, তাদের বরাদ্দ চার টাকা ৪৮ পয়সা বা ছ’টাকা ৭১ পয়সার থেকে বেড়ে যায়। তা সত্ত্বেও ওই মেনু মেনে পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করেন অধিকাংশ শিক্ষক।

রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা।

আরও পড়ুন: ২৬ অগস্ট পর্যন্ত চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের​

পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক কর্তারা জানান, পড়ুয়া-পিছু বরাদ্দ বৃদ্ধির নির্দেশ নেই। তা হলে এই মেনু ওখানে কী ভাবে কার্যকর হবে? ওই জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে এই প্রশ্নের জবাব মিলছে না। এই বিষয়ে হুগলি ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের বক্তব্য জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE